মহারাষ্ট্রে ২ জনকে মেরে ১০ গ্রামবাসীকে অপহরণ মাওদের
ওডি়শা এবং ছত্তিশগড়ে অপহরণকাণ্ড ঘিরে শোরগোলের মাঝেই ফের মাওবাদী সন্ত্রাসের শিকার হল মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলা। এদিন ছত্তিশগড় সীমানা লাগোয়া জঙ্গলঘেরা একটি গ্রাম থেকে ১০ জনকে অপহরণ করল সিপিআই (মাওবাদী) গেরিলারা। পুলিসের চর সন্দেহে ২ জন গ্রামবাসীকে খুনও করেছে মাওবাদীরা।
ওডি়শা এবং ছত্তিশগড়ে অপহরণকাণ্ড ঘিরে শোরগোলের মাঝেই ফের মাওবাদী সন্ত্রাসের শিকার হল মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলি জেলা। এদিন ছত্তিশগড় সীমানা লাগোয়া জঙ্গলঘেরা একটি গ্রাম থেকে ১০ জনকে অপহরণ করল সিপিআই (মাওবাদী) গেরিলারা। পুলিসের চর সন্দেহে ২ জন গ্রামবাসীকে খুনও করেছে মাওবাদীরা। গড়চিরোলি জেলায় মোতায়েন সিআরপিএফ বাহিনী প্রত্যাহার করা হলে তবেই অপহৃত গ্রামবাসীদের ছাড়া হবে বলে জানানো হয়েছে মাওবাদীদের তরফে।
সন্ত্রাসের সালতামামি : বিগত কয়েক বছরে মারাঠা মুলুকের `রেড করিডোর` গড়চিরোলি জেলায় গ্রামবাসী নিরাপত্তাবাহিনীর উপর বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। টহলদার রাজ্য পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর অতর্কিত `অ্যামবুশ` ও ল্যান্ডমাইন হানার পাশাপাশি ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর লেহারি থানা ঘিরে ফেলে, ১৭ জন পুলিসকর্মীকে হত্যা করার মতো সাহসী অপারেশনও চালিয়েছে মাওবাদীরা। এলাকার উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করার জন্য বেলগাঁও, কোরচি-সহ বেশ কিছু পঞ্চায়েত ভবন উড়িয়ে দিয়েছে পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি`র যোদ্ধারা। খুন করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সরপঞ্চ, ব্লক প্রমুখ এমনকী জেলা পরিষদ সদস্যকে। পুলিসের চর তকমা দিয়ে গণ আদালত বসিয়ে বহু গ্রামবাসীকে `চরম দণ্ড` দিতেও পিছপা হয়নি মাওবাদীরা। তবে সাম্প্রতিককালে মহারাষ্ট্র পুলিসের জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষিত নবগঠিত `সি-৬০` বাহিনী ও সিআরপিএফ-এর যৌথ অপারেশনে বেশ কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল মাওবাদীরা। বৃহস্পতিবারের হামলাকে তাই মাওবাদীদের `মরিয়া প্রত্যাঘাতের চেষ্টা` বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।