রাজ্যে সেনা নামানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া বার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

গতকাল সন্ধ্যার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হঠাত্‍ই নেমে পড়ে সেনা। বিশেষ করে নবান্নর সামনে বিদ্যাসাগর সেতুর সামনে টোল প্লাজার সামনে সেনা মোতায়েত করার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিষদগার শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ডের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় গোটা বিষয়টি তাদের রুটিন ড্রিল ছাড়া আর কিছু না।  

Updated By: Dec 2, 2016, 02:22 PM IST
রাজ্যে সেনা নামানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া বার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

ওয়েব ডেস্ক : গতকাল সন্ধ্যার আগে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হঠাত্‍ই নেমে পড়ে সেনা। বিশেষ করে নবান্নর সামনে বিদ্যাসাগর সেতুর সামনে টোল প্লাজার সামনে সেনা মোতায়েত করার পরই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিষদগার শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ডের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় গোটা বিষয়টি তাদের রুটিন ড্রিল ছাড়া আর কিছু না।  

এদিকে, আজ সকালে লোকসভা ও রাজ্যসভাতে সেনা ইস্যুতে বিতর্ক দেখা দেয়। অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সেনা ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। একই ইস্যুতে রাজ্যসভাতেও সুখেন্দু শেখর রায় সরব হন।

আরও পড়ুন- কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যে সেনা অভ্যুত্থানের অভিযোগ, মমতার নিশানায় মোদী

তাঁদের দাবি সেনা নামানোর আগে নবান্ন থেকে এ বিষয়ে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। সেই সঙ্গে তাদের আরও দাবি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী এখনই যেন রাজ্য থেকে সেনা বাহিনী প্রত্যাহার করুন। এরপরই একরকম সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তেড়ে ওঠেন বিজেপি সাংসদরা।

গোটা ঘটনার জবাবে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর বলেন, "যেভাবে ভারতবর্ষের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, তাতে আমি অবাক হচ্ছি। গত কয়েক বছর ধরেই সেনার পক্ষ থেকে এই রুটিন ড্রিল করে। শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, উত্তরপূর্ব ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই এই কাজ করা হয়।"
তিনি আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বেশ কিছু আধিকারিককে বিষয়টি নিয়ে আগাম জানিয়েছিল সেনা। পুলিশের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। তাই সেনার কাজকে এভাবে রাজনীতির মধ্যে টেনে আনবেন না মুখ্যমন্ত্রী।"

.