দিল্লিতে আজ প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক

রাজ্যের জন্য `দাবি` আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত এই বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় হবে, রাজ্যের সুদ মকুব ও আর্থিক প্যাকেজ প্রসঙ্গ। পাশাপাশি প্রস্তাবিত এনসিটিসি গঠনের কেন্দ্রীয় উদ্যোগ ঘিরে রাজ্যের আপত্তির ক্ষেত্রগুলি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

Updated By: May 4, 2012, 09:16 AM IST

রাজ্যের জন্য `দাবি` আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত এই বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় হবে, রাজ্যের সুদ মকুব ও আর্থিক প্যাকেজ প্রসঙ্গ। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রস্তাবিত `জাতীয় সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র`(এনসিটিসি) গঠনের উদ্যোগ ঘিরে রাজ্যের আপত্তির ক্ষেত্রগুলি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
আগামিকাল এনসিটিসি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন মনমোহন সিং। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠককে বিশেষ তাত্‍পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি ৭ রেসকোর্স রোডের বাসিন্দার সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর আলোচনার অনিবার্যভাবেই আসবে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ। বস্তুত, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে দিনভর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন মমতা। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয় সোনিয়া গান্ধী, মুলায়ম সিং যাদব এবং আহমেদ প্যাটেলের। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে হলে কংগ্রেসের সমর্থন প্রয়োজন তৃণমূল কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির। রাজনীতির চেনা ছকে হেঁটেই তাই রাষ্ট্রপতি ভোটে দলীয় লাইন স্থির করার আগে সমাজবাদী সুপ্রিমোর সঙ্গে আলোচনা সেরে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার প্রথমে ১০ জনপথে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক। বৈঠক শেষে সোনিয়া গান্ধী জানান, তাঁরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে এখনও পর্যন্ত কোনও নাম চূড়ান্ত করা হয়নি। সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো মুলায়ম সিং যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে সরকারের ২ প্রধান শরিকের মধ্যে আলোচনা। বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।

এরপর তিনি যান সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেলের বাড়ি। তৃণমূল সূত্রে খবর, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনার পর সোনিয়ার নির্দেশেই আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে এই বৈঠক হয়। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের থেকেও এই বৈঠকে নাকি বেশি প্রাধান্য পেয়েছে রাজ্যের দাবি। তা হলে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইউপিএ জোটের প্রার্থী কে? তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান বাঙালি কাউকে রাষ্ট্রপতির পদে বসাতে। সেক্ষেত্রে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম কংগ্রেস চূড়ান্ত করলে কোনও আপত্তি থাকবে না তাঁর। এমনকী সোনিয়া গান্ধীকে সেকথা জানিয়েও এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, ইউপিএ`র `ক্রাইসিস ম্যানেজার`কে কি আদৌ ছাড়বেন সোনিয়া গান্ধী? এটাই এখন জাতীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

.