একই মঞ্চে মালিক-সইদ, বিতর্কের ঝড়
জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের প্রধান ইয়াসিন মালিক যতই ২৬/১১-এর মূল চক্রী হাফিজ সৈয়দের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা অস্বীকার করুন, ইসলামাবাদে মালিকের অনশন মঞ্চে দু`জনের উপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের প্রধান ইয়াসিন মালিক যতই ২৬/১১-এর মূল চক্রী হাফিজ সৈয়দের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা অস্বীকার করুন, ইসলামাবাদে মালিকের অনশন মঞ্চে দু`জনের উপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সংসদ হামলার মূল অভিযুক্ত আফজল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ প্রেস ক্লাবের কাছে রবিবার থেকে অনশনে বসেছেন ইয়াসিন মালিক। গতকাল সেই মঞ্চে উপস্থিত হন পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার অন্যতম প্রধান হাফিজ সৈয়দ। ওই মঞ্চেই মালিকের সঙ্গে হাফিজ সৈয়দ বৈঠক করেন বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু প্রথম থেকেই এই খবর অস্বীকার করতে থাকেন মালিক।
এরপর মঞ্চে দু`জনের ছবি একসঙ্গে প্রকাশিত হওয়ার পর মালিক কিছুটা ব্যাকফুটে গিয়ে জানিয়েছেন, হাজারেরও বেশি মানুষ তাঁর অনশন মঞ্চে এসেছেন সহমত জানাতে। হাফিজ সইদও একই কারণে তাঁর অনশন সভাস্থলে এসেছিলেন বলে দাবি মালিকের। কিন্তু তাঁদের মধ্যে আলাদা করে বৈঠকের কথা অস্বীকার করছেন তিনি।
ভারতে আফজল গুরুর ফাঁসি হলেও কেন তার প্রতিবাদ করার জন্য তিনি পাকিস্তানকে বেছে নিলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে জেকেএলএফ প্রধান বলেন, ``যে কোন জায়গায় প্রতিবাদ করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার।``
অন্যদিকে, মালিকের অনশন মঞ্চে সইদ ফের একবার তাঁর উগ্র ভারত বিরোধী বক্তৃতা দেন। আফজল গুরুর ফাঁসির ঘটনাকে ভারতের ``আইনী সন্ত্রাসবাদ`` বলেও উল্লেখ করেছেন ভারতের `মোস্ট ওয়ান্টেড` জঙ্গি সইদ।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইয়াসিন মালিকের ভারতীয় পাসপোর্ট খারিজ করার তীব্র দাবি উঠেছে এ দেশের বিভিন্ন মহল থেকে।
কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে জানিয়েছেন তিনি পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।
সূত্রে খবর, ইয়াসিন মালিক ভারতে ফিরে এলে সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সুরক্ষার স্বার্থে মালিকের পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।