জিডিপি`তে জাপানকে টপকালেও বড় সংস্কার নয় এখনই
ক্রয়ক্ষমতার সামঞ্জস্যের বিচারে, জাপানকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল ভারত। আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড বা আইএমএফ)-র সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা গিয়েছে। তবে আইএমএফ-এর এই তথ্যে তরান্বিত হচ্ছে না ইউপিএ সরকারের আর্থিক সংস্কার কর্মসূচীর গতি।
ক্রয়ক্ষমতার সামঞ্জস্যের বিচারে, জাপানকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল ভারত। আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড বা আইএমএফ)-র সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা গিয়েছে। তবে আইএমএফ-এর এই তথ্যে তরান্বিত হচ্ছে না ইউপিএ সরকারের আর্থিক সংস্কার কর্মসূচীর গতি।
দু`টি দেশের বাজারে একই জিনিস কিনতে খরচের যে তারতম্য হয় তাই পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি বা ক্রয়ক্ষমতা সামঞ্জস্য। এই ক্রয়ক্ষমতার সামঞ্জস্যের তুল্যমূল্য বিচারে ভারতের আগে রয়েছে আমেরিকা ও চিন। অর্থাত্ একই জিনিস আমেরিকা বা চিনের বাজারে কিনতে ভারতের তুলনায় কম খরচ করতে হয়। তবে জাপানের বাজারের ক্রয়ক্ষমতার সামঞ্জস্য ভারতের তুলনায় কম। ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড জানাচ্ছে, গত আর্থিক বছরে মোট অভ্যন্তরীণ উত্পাদন বা জিডিপি`তেও জাপানকে টপকে গিয়েছে ভারত। ২০১৭ সালের মধ্যে জিডিপি-তে জাপানকে ভারত অনেকটাই পিছনে ফেলে দেবে বলেও আইএমএফ-এর বিশেষজ্ঞদের অনুমান।
তবে বিশ্বজোড়া মন্দার অভিঘাত অতিক্রম করে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সফল হলেও আপাতত বড় ধরনের সংস্কারের পথে হাঁটতে চাইছে না মনমোহন সরকার। বরং আগামী ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে নেওয়া হতে পারে বেশ কিছু জনমুখী পদক্ষেপ। এদিন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আর্থিক উপদেষ্টা কৌশিক বসুর বক্তব্যে এর স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। আগামী দু`বছর সংসদে বড় ধরনের আর্থিক সংস্কার সংক্রান্ত কোনও বিল আনা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে ২০১৫ সাল থেকে ভারতকে বিশ্বের দ্রুততম আর্থিক বৃদ্ধিসম্পন্ন দেশগুলির সমপর্যায়ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে মন্তব্য কৌশিকবাবুর।