পুত্র নন, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন উদ্ধব
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বালাসাহেব পুত্র।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আলোচনা পর আলোচনা। কিন্তু চায়ের পেয়ালা ও ঠোঁটের মধ্যে দূরত্ব আর মিটছিল না। শুক্রবার সন্ধেয় এনসিপি, কংগ্রেস ও শিবসেনার বৈঠকের পর বেরিয়ে এল সমাধানসূত্র। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর হবেন উদ্ধব ঠাকরে। এব্যাপারে সব দল সম্মতি দিয়েছে। ছেলে আদিত্যকে নিয়ে বেরিয়ে এসে যদিও এব্যাপারে ভেঙে বলতে চাননি উদ্ধব। শিবসেনা সুপ্রিমো জানান, আলোচনা ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়েই থমকে ছিল আলোচনা। নিজের ছেলে আদিত্য ঠাকরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিতে বিজেপির সঙ্গে ৩০ বছরের জোট ভাঙেন উদ্ধব। কিন্তু, তরুণ ও রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ আদিত্য ঠাকরেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানতে চাননি কংগ্রেস ও এনসিপি নেতারা। উঠে আসে সুভাষ দেশাই ও একনাথ শিন্ডের নাম। সূত্রের খবর, তাঁদের নাম খারিজ করে দেয় এনসিপি। শরদ পাওয়ার উদ্ধব ঠাকরের নাম প্রস্তাব করেন। এনসিপি যুক্তি দেয়, এমন একজন ব্যক্তিকে চাই যিনি মহারাষ্ট্রের দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লিকে চাপ দিতে পারেন। কিন্তু আদিত্য ঠাকরে বা অন্যদের সেই প্রভাব নেই। বৈঠক থেকে বেরানোর সময় সাংবাদিকদের শরদ পাওয়ার জানিয়ে দেন, উদ্ধব ঠাকরেই সর্বসম্মতিতে হচ্ছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
NCP Chief Sharad Pawar after Shiv Sena-NCP-Congress meeting: We all have consensus on the name of Uddhav Thackeray as Chief Minister. #Maharashtra pic.twitter.com/UTV9Lrk2c0
— ANI (@ANI) November 22, 2019
ভোটের ফলপ্রকাশের পর এই প্রথম মুম্বইয়ের নেহরু সেন্টারে বৈঠকে বসে এনসিপি-শিবসেনা ও কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার রাতে শরদ পওয়ারের সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের বৈঠকের পরই, সরকার গঠনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যায় বলে খবর। উদ্ধবকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার প্রস্তাব দেন পওয়ার। শুক্রবার শিবসেনার বৈঠকেও বিধায়করা উদ্ধবকেই মুখ্যমন্ত্রী চান। কংগ্রেস-এনসিপিও নিজেদের মধ্যে বৈঠক সেরে নেয়। এরপরই বিকেলে বৈঠকে বসে তিন দল। শিবসেনার তরফে উদ্ধব ঠাকরে ও সঞ্জয় রাউত, এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার ও প্রফুল প্যাটেল, কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা আলোচনায় অংশ নেন।
সূত্রের খবর, তিন দলের আলোচনায় ঠিক হয়েছে, শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের নাম হবে মহারাষ্ট্র বিকাশ ফ্রন্ট। শিবসেনা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হবেন, এনসিপি ও কংগ্রেসের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। বিধানসভার স্পিকার হতে পারেন কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চৌহান। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের মধ্যে ১৫-১৫-১২ ফর্মুলায় দফতর বণ্টন হবে। শিবসেনার আপত্তি থাকায় ৩ দলের অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচিতে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটিকে না রেখে কাছাকাছি কোনও শব্দ রাখা হবে।
মহারাষ্ট্র বিধানসভার অঙ্ক বলছে, তিন দল নিজেদের বিধায়কদের ধরে রাখতে পারলেই, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে অসুবিধা হবে না।
আরও পড়ুন- Exclusive: বাবার ডায়াবেটিস কমেছে? জয় শাহের কাছে অমিতের খোঁজ নিলেন মমতা