সরকারি কর্মীদের আরএসএস শাখায় যোগ দেওয়া যাবে না, নির্বাচনী ইস্তেহারে জানাল কংগ্রেস
কংগ্রেস।শনিবার তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। এটিকে ইস্তেহার না বলে সংকল্পপত্র বলছে রাজ্য কংগ্রেস
নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে এবার আরএসএসের বিরুদ্ধে সরাসরি নেমে পড়ল কংগ্রেস। শনিবার ভোপালে তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে ওই কথা।
এদিন কমলনাথ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দিগ্বিজয় সিংয়ের হাত ধরে যে ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, কংগ্রসে ক্ষমতায় এলে কোনও সরকারি ভবনে বা ভবন চত্ত্বরে আরএসএস-কে ‘শাখা’ চালাতে দেবে না। পাশাপাশি ১১২ পাতার ওই ইস্তেহারে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মীরা এতদিন আরএসএস শাখায় যোগ দিতে পারতেন। সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-১০টা চকলেট বোমা মিশিয়ে হবে বড় বোম! বিস্ফোরণে ঝলসে গেল ২ কিশোর
উল্লেখ্য, কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রদেশে আরএসএসের সঙ্গে কংগ্রেসের সংঘাত লেগে রেয়েছে। এবার তা আরও জোরাল ভাবে সামনে এসে গেল। তবে কংগ্রেসের ইস্তেহারে নরম হিন্দুত্বকেও মেনে নেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে নির্বাচনে জিতলে প্রতিটি পঞ্চায়েতে গোশালা তৈরি করা হবে। পাশাপাশি রাম, গোমূত্রও সামনে এসেছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। এটিকে ইস্তেহার না বলে সংকল্পপত্র বলছে রাজ্য কংগ্রেস। এতে একাধিক প্রতিশ্রুতির ছড়াছড়ি। গোশালা থেকে কৃষকদের জন্য সস্তায় বিদ্যুত। কী নেই সেখানে! ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দিগ্বিজয় সিং, কমলনাথ সহ রাজ্যের নেতারা।
কংগ্রেসের দাবি তারা ক্ষমতায় এলে কৃষকদের জন্য বিদ্যুতের মাসুল অর্ধেক করে দেওয়া হবে, প্রতিটি পঞ্চায়েতে হবে গোশালা। মকুব করা হবে কৃষকদের ঋণ। জানালেন কমল নাথ। এছাড়াও রয়েছে একাধিক অফার।
আরও পড়ুন-"কেউটের সঙ্গে যে আচরণ করেন, তাই করুন বিজেপির সঙ্গে", বেনজির আক্রমণ অভিষেকের
সংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে রাজ্য কংগ্রেসের বিশষ্ট নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, এই প্রথম আমরা কোনও প্রতিশ্রুতি পত্র প্রকাশ করছি। একে ইস্তেহার বলা যায় না। এটা আমাদের সংকল্প পত্র। অত্যন্ত ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছি আমরা।
গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন শিবরাজ সিং চৌহান। তবে রাজ্যের ২৩০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে এবার তিনি সুবিধা করতে পারবেন না বলেই আভাস দিয়েছে সি ভোটারের সমীক্ষা। তারা কংগ্রেসকে এবার দিয়েছে ১১৬ আসন। তবে রাজনৈতিক মহলেরও খবর, এবার মধ্যপ্রদেশে খুব একটা সহজ লড়াই হবে না বিজেপির।