আজ শেষ দফার নির্বাচনে দেশের নজর বাংলার ৯টি কেন্দ্রে, বারাণসীতে অগ্নিপরীক্ষায় মোদী

৫৯টি আসনের মধ্যে গোটা দেশের নজর পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশে। বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য।

Updated By: May 18, 2019, 11:54 PM IST
আজ শেষ দফার নির্বাচনে দেশের নজর বাংলার ৯টি কেন্দ্রে, বারাণসীতে অগ্নিপরীক্ষায় মোদী

নিজস্ব প্রতিবেদন: আর একটা দিন। রবিবার সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ। দেশের ৫৯টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটাররা। আর এই দফায় হেভিওয়েট প্রার্থী বলতে একজনই। তিনি নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। রবিবার ভোট উত্সবে সামিল হবেন বারাণসীর ভোটাররাও।        

পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশে ১৩টি করে, বিহার ও মধ্যপ্রদেশের ৮টি, হিমাচলপ্রদেশের ৪টি, ঝাড়খণ্ডে ৩টি ও চণ্ডীগড় আসনে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে রবিবার। রবিবার পশ্চিমবঙ্গের ৯টি আসনে ভোটগ্রহণ। সেগুলি হল- দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ। 

৫৯টি আসনের মধ্যে গোটা দেশের নজর পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরপ্রদেশে। বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি সভা করে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ভোটপ্রচারের শেষ দিনেও ছিল তাঁর দুটি সভা। এবার পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করেছেন মোদী-শাহ। উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপা জোটের ধাক্কায় বিজেপির ফল আগের লোকসভা ভোটের মতো হবে না বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেই ঘাটতিই পশ্চিমবঙ্গ ও ওডিশা থেকে পূরণ করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠ দফা ভোটগ্রহণ ছিল ঘটনার ঘনঘটায় পূর্ণ। সপ্তম দফাতেও হিংসার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই দফায় তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী মমতার ভাইপো  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে উত্তর কলকাতায় আবার প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। যাদবপুরে আবার সিপিএমের আশা বিকাশ ভট্টাচার্য। রাজনীতির কারবারিদের মতে, সম্ভবত যাদবপুরই এমন কেন্দ্র যেখানে তৃণমূল বনাম সিপিএম সরাসরি লড়াই হতে চলেছে।    

উত্তরপ্রদেশের ১৩টি আসনের মধ্যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বারাণসী। গতবার বারাণসী থেকে বিরাট ব্যবধানে জিতেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এবারও বারাণসীতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে বিশাল জনসমর্থন জড়ো করে রোড শোয়ে ক্ষমতা দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বারাণসীতে মোদীর প্রধান চ্যালেঞ্জার কংগ্রেসের অজয় রাই। মাঠ ছেড়ে দেয়নি সপা-বসপা জোটও। তাঁদের প্রার্থী শালিনি যাদব। সবমিলিয়ে ২৫ জন প্রার্থী রয়েছেন মোদীর বিরুদ্ধে।   

সপ্তম দফায় ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৯১৮জন প্রার্থীর। ভোট দেবেন ১০.১ কোটি ভোটার। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রয়েছে ১.১২ লক্ষ পোলিং স্টেশন। গত ৬টি দফায় গড়ে ভোট পড়েছে ৬৬.৮৮ শতাংশ। ৩৮ দিন ধরে চলেছে নির্বাচন প্রক্রিয়া। ২৩ মে ফল ঘোষণা। সেদিনই জানা যাবে ভারতের আগামী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? 

আরও পড়ুন- মোদীকে ক্লিনচিট নিয়ে বিতর্কে নির্বাচন কমিশনে, মতের অমিল স্বাভাবিক, বললেন সুনীল আরোরা

.