JIO TV-র জ্বালায় আর্থিক ক্ষতি এবং চাকরি ছাঁটাই! ফুঁসছেন শহরের অতিষ্ঠ কেবল অপারেটররা
Local cable operators express concern over JIO TVs live streaming: জিয়ো টিভি-র জ্বালায় অতিষ্ঠ কেবল অপারেটররা। ওটিটি প্ল্য়াটফর্মের দৌরাত্মের কারণেই কেবল শিল্পে বিরাট আর্থিক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি কর্মীরা হারাচ্ছে চাকরি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জিয়ো টিভি-র (JIO TV) ভয়ংকর রমরমা! অতিষ্ঠ শহরের দ্য় অল লোকাল কেবল অপারেটর অ্য়াসোসিয়েশন (The All Local Cable Operator Association) ওরফে এএলসিওএ (ALCOA)। কেবল অপারেটরদের দাবি জিয়ো টিভির লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জন্য় কেবল শিল্পে ব্য়াপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জিয়ো টিভি-র ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচারিত লাইভ এবং লিনিয়ার কন্টেন্টে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি চাকরি ছাঁটাইও হচ্ছে কেবল অপারেটদের।
আরও পড়ুন: Gold Price: এক ধাক্কায় বিরাট বদল সোনার দামে, সস্তা হল রুপো
এএলসিওএ এই মর্মে চিঠি দিয়েছে টিআরএআই অর্থাৎ টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে। সেখানে জানানো হয়েছে যে, জিও টিভির এই অনুশীলন বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এএলসিওএ-র মতে লাইভ সম্প্রচার শুধুমাত্র মাল্টি-সিস্টেম অপারেটর (এমএসও), হেডএন্ড ইন দ্য স্কাই (এইআইটিএস) অপারেটর, ডাইরেক্ট-টু-হোম (ডিটিএইচ) প্লেয়ার এবং আইপিটিভি প্রদানকারীদের দ্বারা সম্প্রচার করা উচিত। এএলসিওএ-এর যুক্তি যে, জিয়ো টিভি-র মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলির লিনিয়ার কন্টেন্ট লাইভ সম্প্রচার করা উচিত নয়। কারণ এটি ১৯৯৫-এর কেবল আইনের বিরোধী।
এএলসিওএ-র চিঠিতে টিআরএআই-কে আরও জানানো হয়েছে যে, ২০১৮ সালে দেশের ১৯৭ মিলিয়ন বাড়িতে টিভি ছিল, যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২১০ মিলিয়নে। এই হারে টিভি কেনার সংখ্য়া বাড়লেও, টিভি পরিষেবা নেওয়া পরিবারের সংখ্য়া বছরের পর বছর কমেই চলেছে। ২০১৮ সালে ছিল ১২০ মিলিয়ন। ২০২০ সালে তা হয়ে যায় ৯০ মিলিয়ন।
এএলসিওএ আরও বলেছে যে, স্টার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ও ইন্ডিয়াকাস্টের মতো সম্প্রচারকারীরাও লিনিয়ার কন্টেন্ট লাইভ স্ট্রিম করছে তাদের ওটিটি প্ল্য়াটফর্মে। জিয়ো টিভির সঙ্গেই রয়েছে ডিজনি প্লাস হটস্টার। তারা কেবল টিভির গ্রাহকদের কেড়ে নিচ্ছে। বিশেষত গৃহবধূ, ছাত্রছাত্রী ও তরুণ প্রজন্মের কাছে এখন টিভি-র চেয়ে অনেক এগিয়ে ওটিটি। কারণ সেগুলি তুলনামূলক সস্তার এবং ভালো।
এএলসিওএ এও বলেছে যে, এখন ওটিটি প্ল্য়াটফর্মগুলিই মেজর টিভি চ্য়ানেলগুলি দেখিয়ে দিচ্ছে অতিরিক্ত পয়সা না নিয়ে। যা কেবল টিভি শিল্পের জন্য অন্যায় প্রতিযোগিতা। এই প্ল্যাটফর্মগুলি অবাধে এমন কিছু কন্টেন্ট দেখানো হচ্ছে যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আরও পড়ুন: গো হত্যা বন্ধ না হলে এরকম আরও ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে, ওয়েনাড় ট্রাজিডি নিয়ে মন্তব্য বিজেপি নেতার
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)