হ্যান্ড স্যানিটাইজার মজুত, বিক্রিতে লাগবে না লাইসেন্স, সরকারি নির্দেশিকায় গুণগত মান রক্ষায় প্রশ্ন
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর জানিয়েছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের সবরকম লাইসেন্সের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- হ্যান্ড স্যানিটাইজার এখন রোজকার জীবনে অত্যন্ত গুরুতর এক সামগ্রি। নিউ নরমাল-এ ভাইরাসের কবল থেকে বাঁচতে মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কেন্দ্রীয় সরকার তাই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জোগান বাড়াতে চাইছে। আর এবার সরকারি নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার মজুত ও বিক্রি করেত কোনওরকম লাইসেন্স লাগবে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে অবশ্য প্রশ্ন উঠছে, এতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের গুণগত মান ঠিক থাকবে তো! অসাধু ব্যবসায়ীরা এই নির্দেশিকার সুযোগ নেবে না তো!
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর জানিয়েছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের সবরকম লাইসেন্সের আওতার বাইরে রাখা হচ্ছে। অর্থাত্, এখন য়ে কোনো ব্যবসায়ী চাইলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি করতে পারবেন। এমনকী গুদামে মজুত করেও রাখতে পারবেন। অল ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন অফ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট (AIOCD) অবশ্য জানিয়েছে, সরকারের এই নির্দেশিকার ফলে ভেজাল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে ছড়়িয়ে পড়বে। তারা জানিয়েছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, ইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, ইথানল, ক্লোরিক্সিডিন-এর মতো উপাদান লাগে। এগুলি সবই লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কেনা হয়। আর তাই এইসব উপাদানের গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ থাকে সরকারের কাছে।
আরও পড়ুন- আমূল বদল দেশের শিক্ষা পদ্ধতিতে, উঠে যাচ্ছে দশম-দ্বাদশ বোর্ডের পরীক্ষা, চালু ৫+৩+৩+৪ ব্যবস্থা
এমনিতেই এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছে। কোথাও এবার এক টাকার পাউচ-এ পাওয়া যাচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সেগুলির গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। নিম্ন মানের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া এতে ভাইরাস দমনও সম্ভব নয়। ফলে সংক্রমণের ভয় থেকেই যাবে।