'অন্য রকম' রাজনীতির বার্তা নিয়ে মোদীকে চিঠি অখিলেশের

অন্য রকম রাজনীতি। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা অধুনা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ সিং যাদব। চিঠিতে অখিলেশ প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন বাজেটের দিন বদলে দিয়ে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের পরে বাজেট পেশ করতে।  কারণ, অখিলেশ মনে করছেন, তাঁর রাজ্যে ভোটের  আগেই যদি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হয়, তাহলে উত্তরপ্রদেশ বঞ্চিত  হবে।

Updated By: Jan 27, 2017, 08:11 PM IST
'অন্য রকম' রাজনীতির বার্তা নিয়ে মোদীকে চিঠি অখিলেশের

নির্ণয় ভট্টাচার্য্য

অন্য রকম রাজনীতি। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা অধুনা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ সিং যাদব। চিঠিতে অখিলেশ প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন বাজেটের দিন বদলে দিয়ে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের পরে বাজেট পেশ করতে।  কারণ, অখিলেশ মনে করছেন, তাঁর রাজ্যে ভোটের  আগেই যদি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হয়, তাহলে উত্তরপ্রদেশ বঞ্চিত  হবে।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশ সহ যে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট  দরজায় কড়া নাড়ছে সেইসব রাজ্যের  জন্য কোনও বিশেষ যোজনা বা অনুদান ইত্যাদির কোনও উল্লেখই কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষণা করা যাবে না। আর তার ফলেই অখিলেশের আশঙ্কা, বঞ্চিত  হবে  জনসংখ্যার নিরিখে ভারতের প্রথম রাজ্য।

এই সেই চিঠি।

সম্প্রতি, আইনজীবী এম.এল. শর্ম্মা সুপ্রিমকোর্টে  জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে বলেন, কেন্দ্রীয় বাজেটের দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক। তাঁর অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রের শাসক দল বাজেটের বিভিন্ন যোজনার মাধ্যমে ওই পাঁচ রাজ্যের জনগণকে 'প্রভাবিত' করার চেষ্টা করবে। কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট বর্তমান সপ্তাহের প্রথম দিকেই তার রায়ে জানিয়ে দেয় যে, 1লা  ফেব্রুয়ারি থেকে বাজেটের দিন সরানোর কোনও প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন- প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সম্পর্কে 'সেক্সিস্ট' মন্তব্য করেও ক্ষমা চাইতে নারাজ বিজেপির বিনয় কাটিহার

এদিকে, বেশ কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশনে দরবার করেছিলেন মুলায়ম সিং যাদব, ডেরেক ও'ব্রায়েন সহ আরও বেশকিছু 'বিরোধী' রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। তাঁদেরও দাবি ছিল বাজেট পিছতে বলা হোক সরকারকে না হলে এই পাঁচ রাজ্যের ভোটারদের 'প্রভাবিত' করার চেষ্টা করা হতে পারে।

কিন্তু, শীর্ষ আদালত এবং নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের ফলে অখিলেশ বুঝে গিয়েছেন যে ভোটের আগেই বাজেট পেশ কার্যত নির্দিষ্ট হয়ে গেছে। আর এতেই তিনি রাজ্যের বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন এবং সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর অনুরোধ পত্র। ঠিক এখানেই গতে বাঁধা রাজনীতিকদের থেকে উল্টো পথে হাঁটলেন তিনি।  মুলায়মসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি যেখানে ভোটারদের 'প্রভাবিত' না হতে দেওয়ার নির্দেশ পেয়েই তুষ্ট, সেখানে, অখিলেশ চাইছেন রাজ্যের উন্নয়ন, আর তাতে কাঁটা বিছাতে পারে ভেবেই তিনি চিন্তিত। এবং তিনি এতটাই 'উন্নয়নের রাজনীতিতে' আস্থাশীল যে রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে তিনি অনুরোধ পত্র পাঠাতে প্রস্তুত আসন্ন নির্বাচনে তাঁর অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকেও। এখানেই তিনি ভিন্ন ধারার বলে মনেকরছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন- 'সেক্সিস্ট' মন্তব্যে প্রিয়াঙ্কার 'রাজনৈতিক' প্রতিক্রিয়া

উল্লেখ্য, বর্তমানে উত্তর প্রদেশে ক্ষমতাসীন দল সমাজবাদী পার্টি। এবারের রাজ্য বিধানসভা ভোটে তারা গাঁটছড়া বেঁধেছে কংগ্রেসের সঙ্গে। আর হাত-সাইকেল জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিপক্ষ নরেন্দ্র মোদীকে মুখ করে ভোটে লড়তে  চলা (বিজেপি উত্তরপ্রদেশে এখনও কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি) বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের ৮০টি আসনের মধ্যে ৭২টি জয় করে নিয়েছিল মোদী-শাহ জুটি। আর এবার তাঁদের পাখির চোখ সেই রাজ্যেরই বিধানসভার  ৪০৩টি আসন।

.