পেট্রোলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে পথে নামছে বামেরা

পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ৩১ মে দেশজুড়ে বিক্ষোভে সামিল হচ্ছে চার বামদল। ওইদিন হরতাল, রাস্তা রোকো, ধরনা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখায় সিপিআইএম ও সিপিআই। কেরালায় এলডিএফের ডাকে পালিত হয় হরতাল।

Updated By: May 24, 2012, 09:02 PM IST

পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ৩১ মে দেশজুড়ে বিক্ষোভে সামিল হচ্ছে চার বামদল। ওইদিন হরতাল, রাস্তা রোকো, ধরনা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখায় সিপিআইএম ও সিপিআই। কেরালায় এলডিএফের ডাকে পালিত হয় হরতাল। পেট্রোলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না-হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের কথা জানিয়েছে বামেরা। পেট্রোলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিল্লির রফি মার্গে নীলোত্‍পল বসুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরা সংসদ ভবনের দিকে এগোতে গেলে পুলিস বাধা দিলে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। নীলোত্‍পল বসু-সহ সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিস তাঁদের ছেড়ে দেয়।
সিপিআইএম-এর তরফে জানানো হয়েছে, পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গোটা জুন মাস সারা দেশে প্রচার চালাবে দল। সংসদের বাদল অধিবেশন চলাকালীন চলবে ধরনা। ৩১ জুলাই দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাবে সিপিআইএম। অবিলম্বে পেট্রোলের দামে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন সিপিআইএম নেতা নীলোত্‍পল বসু। তাঁর অভিযোগ, সরকারের কথাতেই সংসদের বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার ঠিক পরে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে।
এদিন, সিপিআইয়ের পক্ষ থেকেও দিল্লির যন্তর-মন্তরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ৩১ মে চার বামদল একযোগে দেশজুড়ে প্রতিবাদে সামিল হবে বলে জানিয়েছেন সিপিআই নেতা ডি রাজা। ওইদিন রাস্তা রোকো, মিছিল, ধর্নার মতো বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। 

পেট্রোলের দাম বাড়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কেরালায় এলডিএফের পক্ষ থেকে হরতালের ডাক দেওয়া হয়। বন্ধ ছিল অধিকাংশ দোকানপাট। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ছিল কম। তবে, জরুরি পরিষেবাকে হরতালের আওতার বাইরে রাখা হয়।

পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিল্লির যন্তর-মন্তরে বিক্ষোভে সামিল হয় সিপিআইএমএল লিবারেশনও। পোড়ানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল। 
 
 

.