ত্রিপুরার গ্রামে মাটি ফেটে বেরল লাভার মতো দাহ্য তরল
আতঙ্কের এই খবর শুনে উদ্বিগ্ন ত্রিপুরা প্রশাসন। কারণ, ত্রিপুরা প্রবল ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। এটা সেসমিক জোন ফাইভের মধ্যে পড়ে। এরকম একটি অঞ্চলে এই প্রথম নয়, এ বছর আরও দু'বার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দাহ্য তরল। অনেকটা লাভার মতো। এই পদার্থ ঘিরেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ত্রিপুরায়। সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্যের জালিফা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। যা ঘিরে ওই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপুল অনাদায়ী ঋণের জন্য কাঠগড়ায় একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, ৬০০০ কর্মীকে শাস্তি কেন্দ্রের
আতঙ্কের এই খবর শুনে উদ্বিগ্ন ত্রিপুরা প্রশাসন। কারণ, ত্রিপুরা প্রবল ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। এটা সেসমিক জোন ফাইভের মধ্যে পড়ে। এরকম একটি অঞ্চলে এই প্রথম নয়, এ বছর আরও দু'বার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে অঞ্চলে ঘটনাটি ঘটেছে, তা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সংলগ্ন। এছাড়া এপ্রিলের মাঝামাঝি বৈষ্ণবপুর ও শুনরুমের ঘাগড়াবস্তিতে একই ধরনের ঘটনাটি ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: রেলের মুকুটে নয়া পালক, 'মেক ইন ইন্ডিয়া'য় তৈরি ট্রেন চলছে পড়শি দেশে
তখনও মাটির ফাটল থেকে বেরিয়ে এসেছিল লাভার মতো দাহ্য তরল। সঙ্গে বেরিয়েছিল গ্যাস ও আগুন। তখনই একদফা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। যার মাত্রা ডিসেম্বরের ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে গিয়েছে আরও অনেকটা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার জালিফা গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটির নিচ থেকে লাভা বেরতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে দমকল ও পুলিশকে খবর দেন। তবে দমকল জল ও ফোম ব্যবহার করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। ততক্ষণে আশপাশের জমি অনেকটাই পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: গুলি করার আগে সুবোধ কুমার সিংয়ের মাথায়, হাতে কুড়ুলের কোপ মারে উন্মত্ত জনতা
পরে ঘটনাস্থলে যান ত্রিপুরা সরকারের বিজ্ঞান ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ নেন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে। প্রয়োজনীয় নমুনাও সংগ্রহ করে নেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, ভূগর্ভে টেকনটনিক প্লেট সরে যাওয়ার জন্য প্রচণ্ড উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে। তার জেরেই দাহ্য তরল বেরিয়েছে। যদিও ত্রিপুরা স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের অভিষেক চৌধুরী লাভা বেরনো বা অগ্ন্যুত্পাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করাতে তৈরি কেন্দ্র: রাজনাথ সিং
কিন্তু ত্রিপুরা সরকার বিষয়টিকে হালকা করে দেখতে নারাজ। ত্রিপুরার বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ মন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মন এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। পুরো পরিস্থিতির উপর তাঁরা নজর রেখেছেন।