Kerala Doctor Killed: হাসপাতালে পায়ের ক্ষতের ড্রেসিং করছিলেন তরুণী চিকিত্সক, তাঁকেই কুপিয়ে খুন করল যুবক
Kerala Doctor Killed:আচমকা ওই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যায় পুলিস। তাকে বাধা দিতে গেলে পাল্টা সে পুলিসের উপরে চড়াও হয়। ওই চিকিত্সক ছাড়াও আরও চারজন ওই যুবকের হামলায় আহত হন। পরে অনেক কষ্টে তাকে আয়ত্বে আনে পুলিস। তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা হয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মারামারি করে হাসপাতালে এসেছিল আহত যুবক। হাসপাতালে এসেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড করলেন সেই যুবক। কেরালার কোট্টারাকারার এক হাসপাতালে এক মহিলা চিকিত্সককে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করলে সেই যুবক। আতঙ্কে তোলপাড় হাসপাতাল।
আরও পড়ুন-কেন নাইটদের হয়ে বোলিং করছেন না শার্দূল ঠাকুর? চলে এল চমকে দেওয়া তথ্য
কোট্টারাকারা থানা সূত্রে খবর, হাসপাতালে ওই যুবক আসে পায়ে এক গভীর ক্ষত নিয়ে। সেই ক্ষতে ড্রেসিং করছিলেন ওই মহিলা চিকিত্সক ও নার্সরা। সেই সময়েই ভয়ংকর কাণ্ড করে বসল ওই যুবক। ডাক্তারের ছুরি ও কাঁচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ডাক্তার ও অন্যান্য চিকিত্সাকর্মীদের উপরে। একের পর এক ছুরির কোপ দিতে থাকে ওই তরুণী চিকিত্সককে। পাশাপাশি তাকে হাসপাতালে যেসব পুলিসকর্মী এনেছিলেন তাদের উপরেও চড়াও হয় ওই যুবক। তারাও আহত হন। আহত চিকিত্সককে তিরুবনন্তপুরমের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
সংবাদমাধ্যমে পুলিস জানিয়েছে, পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করছে বলে পুলিসের জরুরি নম্বরে ফোন করে ওই যুবক। ফোনে পেয়েই ছুটে যায় পুলিস। তাকে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে যখন তাকে আনা হয় তখন সে মত্ত ছিল। মুখ থেকে মদের গন্ধ আসছিল। হাসপাতালে যে রুমে ওর ড্রেসিং হচ্ছিল সেখানে পুলিসকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আচমকাই চিত্কার চেঁচামেচি শুনতে পাওয়া যায়। ঘরে থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসেন ওই তরুণী চিকিত্সক। পেছনে পেছেন দৌড়ে আসে ওই যুবক। তার হাতে ছুরি, কাঁচি। ও চিত্কার করছিল, খুন করে ফেলব, তোমাকে খুন করে ফেলব। কেন সে আচমকাই এরকম রুদ্রমূর্তি ধারন করল তা বোঝা যায়নি।
আচমকা ওই ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যায় পুলিস। তাকে বাধা দিতে গেলে পাল্টা সে পুলিসের উপরে চড়াও হয়। ওই চিকিত্সক ছাড়াও আরও চারজন ওই যুবকের হামলায় আহত হন। পরে অনেক কষ্টে তাকে আয়ত্বে আনে পুলিস। তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা হয়েছে।
ওই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে আইএমএ। সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, এজিনিস চলতে পারেন না। এরকম পরিস্থিতি হলে কাজ করা অসম্ভব। চিকিত্সকরা যখন মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছে তখন তারাই আক্রান্ত। আগেই এরকম ঘটনার প্রতিবাদ করেছে আইএমএ। সংগঠন এই ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ।