আমিরশাহির ৭০০ কোটি অর্থ সাহায্যের খবর কোথা থেকে পেলেন বিজয়ন? প্রশ্ন বিজেপির

পিনারাই বিজয়নকে নিশানা কেরল বিজেপির। 

Updated By: Aug 24, 2018, 08:10 PM IST
আমিরশাহির ৭০০ কোটি অর্থ সাহায্যের খবর কোথা থেকে পেলেন বিজয়ন? প্রশ্ন বিজেপির

নিজস্ব প্রতিবেদন: বন্যাবিধ্বস্ত কেরলকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, এই খবর কোথা থেকে পেলেন পিনারাই বিজয়ন? শুক্রবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে এই প্রশ্ন করল বিজেপি। কেরল বিজেপির রাজ্য সভাপতি পিএস শ্রীধরন পিল্লাই বলেন,''গোটা বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চালানো হয়েছে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচার''।'

শ্রীধরন পিল্লাইয়ের কথায়, ''কোথা থেকে খবরটি পেয়েছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে বিজয়নকে। বিদেশি সাহায্য প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর থেকে কেন্দ্র ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানো হয়েছে''।

যোগসাজশের অভিযোগ তুলে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, ''বিদেশি দেশের অলীক অনুদান নিয়ে উত্সব করে প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে বামপন্থী ও ইসলামিকদের আঁতাঁত। আদর্শগত বিভেদের কারণে সেবাভারতীর মতো সংস্থার অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে কেরল''।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রদূত আহমেদ আলবানা একটি সংবাদপত্রকে বলেছেন, ''আর্থিক সাহায্য নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। বন্যার পর কত ত্রাণ দরকার, তা নিয়ে এখনও পর্যালোচনা চলছে। তার আগে কোনও আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ চূড়ান্ত করা উচিত নয়''।        

দিন কয়েক আগে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দাবি করেছিলেন, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহেন। ৭০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মোদী সরকার যাতে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দেয়, তার জন্য তদ্বির করবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিজয়ন। তবে এখন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এই দাবির পর প্রশ্ন উঠছে, আর্থিক সাহায্যের খবরের সূত্র কী? 

প্রসঙ্গত, বিদেশ থেকে কোনও অনুদান দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। বিদেশমন্ত্রক থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, বিভিন্ন দেশ ও সরকারের কাছ থেকে ত্রাণ ও অর্থ সহযোগিতার প্রস্তাব এসেছে। তাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে ভারত সরকার। তবে বর্তমান নীতি অনুযায়ী বিদেশ থেকে ত্রাণ বা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে পারবে না কেন্দ্র। তবে অনাবাসী ভারতীয়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত বা আন্তর্জাতিক সংগঠনের তরফে সাহায্য এলে, তা স্বাগত। 

উল্লেখ্য এর আগে এমন পরিস্থিতি বিদেশের সাহায্য নেওয়া হয়নি। সুনামি এবং উত্তরাখণ্ডের বন্যার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কোনও বিদেশি সাহায্য গ্রহণ করেনি তত্কালীন মনমোহন সরকার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানিয়েছিলেন, “এই বিপর্যয় মোকাবিলা করার ক্ষমতা ভারতের আছে। প্রয়োজন হলে সাহায্য চাইবে ভারত।”  পরবর্তীকালে অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে বিদেশি সাহায্য নিতে হয়নি ভারতকে।  

 আরও পড়ুন- বিপ্লবের কড়া পদক্ষেপে বন্ধের পথে গাঁজা চাষ, বিকল্প পেশার খোঁজে চাষিরা

.