Karnataka: হুব্বল্লি ইদগাহ ময়দানেই হবে গণেশ পুজো, রাতেই শুনানি কর্ণাটক হাইকোর্টে
হুব্বলি ধারয়াদের ঈদগাহ ময়াদানে গণেশ পুজো করার ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে সেই নির্দেশ পুন বিবেচনা করার আর্জি জানানো হয়। কিন্তু ওই নির্দেশই বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইদগাহ ময়দানে (Idgah Maidan) হবে গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi) উৎসব ৷ কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর চামারাজপেটের ইদগাহ ময়দানে গণেশ চতুর্থীর উৎসবের অনুমতি দিয়েছে ওই রাজ্যের হাইকোর্ট (Karnataka High Court) ৷ হুব্বলি ধরওয়াড় ঈদগাহ ময়াদানে গনেশ পুজো করার ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে সেই নির্দেশ পুন বিবেচনা করার আর্জি জানানো হয়। কিন্তু ওই নির্দেশই বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, ওই ইদগাহ ময়দান সরকারের সম্পত্তি। আবেদনকারী দুটি অনুষ্ঠানের জন্য এই সম্পত্তি লিজে নিয়েছেন। ওই সম্পত্তির উপর সরকারের অধিকার রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়ে কর্নাটক হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত. মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বেঙ্গালুরুর ইদগাহ ময়দানে গণেশ পুজো করার সরকারি অনুমতি বাতিল করে ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে গণেশ চতুর্থী উৎসব পালনের অনুমতি দিয়েছিল কর্নাটকের বিজেপি সরকার। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কর্নাটক ওয়াকফ বোর্ডের তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল।
বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে বেঙ্গালুরুতে জমির মালিকানা নিয়ে "গুরুতর প্রশ্ন" সুপ্রিম কোর্টের সামনে উত্থাপিত হয়েছিল। তবে হুব্বল্লিতে জমির মালিকানা নিয়ে কোনও বিরোধ ছিল না। হাইকোর্ট এদিন বলে, "আগের রায়গুলি থেকে এটি স্পষ্ট যে সম্পত্তিটি সরকারের মালিকানাধীন এবং আবেদনকারী সম্পত্তিটি ইজারা নিয়েছিলেন শুধুমাত্র দুটি সময়ে ব্যবহার করার জন্য। উল্লিখিত সম্পত্তির উপর সরকারের অধিকার রয়েছে।" তবে রাতের নির্দেশে, উত্সব বন্ধ করার আবেদন খারিজ করে।
আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে, "হিন্দু দলগুলি উল্লিখিত সম্পত্তিতে একটি গণেশ মূর্তি স্থাপন এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি আবেদন জমা দিয়েছে। একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যা রেকর্ডে থাকা উপকরণগুলি পরীক্ষা করার পরে সরকারকে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল যে গণেশ চতুর্থী উদযাপনের জন্য জমিটি হিন্দুকে হস্তান্তর করা যেতে পারে।”
হাইকোর্টকে নির্দেশ পুন বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন অঞ্জুমান ই ইসলাম নামে এক হুব্বলি'র এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার সকালে এই মামলা গণেশ পুজো পালনের অনুমতি দিয়েছিল আদালত। হুব্বালি ধারয়া পুরসভাকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়।