রিসর্টে কংগ্রেস বিধায়কের মাথায় বোতল দিয়ে মার আর এক বিধায়কের
কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়কদের ভাঙিয়ে বিজেপি সরকার গঠনের চেষ্টা করছে বলে খবর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এ যেন দক্ষিণী ছবির চিত্রনাট্য! কর্ণাটকের রাজনৈতিক টানাপোড়েন প্রতিদিনই নিচ্ছে নাটকীয় মোড়। এবার কংগ্রেসের এক বিধায়ককে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই আর এক বিধায়কের বিরুদ্ধে। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ভর্তি আহত বিধায়ক।
কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়কদের ভাঙিয়ে বিজেপি সরকার গঠনের চেষ্টা করছে বলে খবর। জানা গিয়েছিল, দুই দলের ১৩ জন বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। ওদিকে, বিজেপি বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। মুখে বিজেপি দাবি করে, লোকসভা ভোটের আগে কৌশল রচনার জন্য বিধায়কদের আনা হয়েছে। ইয়েদুরাপ্পাও জানান, সরকার গঠনের চেষ্টা করছে না বিজেপি। তবে কংগ্রেস অভিযোগ করে, কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে তাদের বিধায়কদের। দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকও ডাকা হয়। কিন্তু সেই বৈঠকে গরহাজির থাকেন ৪ বিধায়ক। তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী মুখ মমতা ? বকরি ইদে বাঁচলে তো মহরমে নাচবে: খাড়গে
৪ জন ছাড়া বাকি বিধায়কদের রাখা হয়েছিল একটি রিসর্টে। সেখানেই ঘটেছে মারপিটের ঘটনা। একটি অসমর্থিত সূত্রের খবর, রিসর্টে কাম্পলির বিধায়ক জেএন গণেশের সঙ্গে বাদানুবাদ শুরু হোসাপেটের কংগ্রেস বিধায়ক আনন্দ সিংয়ের। বাদানুবাদ গড়ায় হাতাহাতিতে। বোতল দিয়ে আনন্দের মাথায় আঘাত করেন গণেশ। গুরুতর আঘাত পান আনন্দ সিং। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে। মারামারির কথা অস্বীকার করেছেন কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার।
আরও পড়ুন- মমতার ভাষণের আগে ফিরতি পথে অর্ধেক কর্মী, ফাঁস করলেন পুলিস আধিকারিক
পরিষদীয় দলের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন চার বিধায়ক। রবিবার তাঁদের নোটিস পাঠিয়েছে কংগ্রেস। জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। নোটিস পাঠানো হয়েছে রমেশ জারকিহোলি, বি নগেন্দ্র, উমেশ যাদব ও মহেশ কুমাতাহাল্লি। তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। বিশেষ করে রমেশ জারকিহোলির অবস্থান নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে মন্ত্রিত্ব খুঁইয়েছেন এই কংগ্রেস বিধায়ক। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন তিনি। দিল্লি ও মুম্বইয়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। তাঁর কাছ থেকে সংবাদ মাধ্যম এই খবরের ব্যাখ্যা চেয়েছে কংগ্রেস।