কুকথার কল্যাণে সংসদে ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের

সংসদে কয়েক লক্ষ মানুষের প্রতিনিধি তিনি।  পেশায় আইনজীবীও বটে। কিন্তু সেসবে থোড়াই কেয়ার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যাকে যা মুখে আসে তাই বলে দেওয়াটাই গৌরবের বলে  মনে করেন এই তৃণমূল সাংসদ। শ্রীরামপুরের এই কীর্তিমান সাংসদের সৌজন্যেই মঙ্গলবার তৃণমূলের  মুখ পুড়ল সংসদে।

Updated By: Dec 9, 2014, 06:10 PM IST
কুকথার কল্যাণে সংসদে ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের
সৌজন্যে লোকসভা টিভি

ওয়েব ডেস্ক: সংসদে কয়েক লক্ষ মানুষের প্রতিনিধি তিনি।  পেশায় আইনজীবীও বটে। কিন্তু সেসবে থোড়াই কেয়ার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যাকে যা মুখে আসে তাই বলে দেওয়াটাই গৌরবের বলে  মনে করেন এই তৃণমূল সাংসদ। শ্রীরামপুরের এই কীর্তিমান সাংসদের সৌজন্যেই মঙ্গলবার তৃণমূলের  মুখ পুড়ল সংসদে।

গত শুক্রবারই কুকথার প্রতিবাদে  সরব ছিলেন তিনি। ইস্যু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জনের বিবৃতি।  সংসদের বাইরে সেদিন দলীয়  বিক্ষোভে  মধ্যমণি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কী আশ্চর্য,ঠিক তার পরদিন হুগলির চন্ডীতলায় সেই কল্যাণই বেলাগাম। টার্গেট প্রধানমন্ত্রী।

চন্ডীতলায় কল্যাণের নিশানায় সেদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীও।  এহেন বাক্যবাণ হাতিয়ার করেই মঙ্গলবার লোকসভায় আক্রমণে নামে বিজেপি। টার্গেট কল্যাণ এবং তৃণমূল। দার্জিলিংয়ের সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়ার দাবি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে সভায় নিন্দা প্রস্তাব আনা হবে। একই ইস্যুতে সরব সিপিআইএমের মহম্মদ সেলিমও। শেম শেম আওয়াজে সভা যখন সরগরম, নিজের আসনে কল্যাণ কিন্তু তখন স্রেফ নির্বিকার। সংদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু নিজেই দিলেন মুখরক্ষার ফর্মূলা।

কিন্তু কে শোনে কার কথা! তখনও অনড় কল্যাণ। অস্বস্তি সামাল দিতে এরপর নিজেই সক্রিয় হন স্পিকার। এদিকে, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ভুল কিছু বলেননি। এজন্য ক্ষমা চাওয়ারও কোনও প্রশ্ন নেই। জানা গেছে, কল্যাণ ক্ষমা না চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে লোকসভায় ভর্ত্সনা প্রস্তাব আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

না, এরপরও কল্যাণবাবুর আচরণ বদলায়নি। বরং নোটিস না দিয়ে একজন সাংসদকে  নিয়ে আলোচনার প্রতিবাদে সরব হন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। ক্ষুব্ধ সংসদীয় মন্ত্রী তখন জানিয়ে দেন, তাহলে নোটিস দিয়েই আনা হবে নিন্দা প্রস্তাব। অবশ্য এতকিছুর পরেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যথারীতি নির্বিকার।

সংসদের ভিতর ও বাইরে ভাষা ব্যবহারে সাংসদরা সচেতন হোন। সোম ও মঙ্গলবার পরপর আবেদন জানালেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং লোকসভার স্পিকার। কিন্তু প্রশ্ন থাকছেই, সাংসদদের সাড়া মিলবে কি?

.