দরিদ্র বিতর্ক: ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন কপিল সিব্বল

দ্রারিদ্র সীমা নিয়ে তৈরি বিতর্ক সামাল দিতে এবার আসরে নামলেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিব্বল। যোজনা কমিশনের মাপকাঠি নিয়েই এবার পাল্টা প্রশ্ন তুললেন তিনি। সিব্বলের সুরে সুর মিলিয়েছেন কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিংও। তবে, হাতে আসা অস্ত্র সহজে যে তাঁরা ছাড়বেন না বুঝিয়ে দিয়েছে বিরোধী শিবিরও। 

Updated By: Jul 27, 2013, 08:28 PM IST

দ্রারিদ্র সীমা নিয়ে তৈরি বিতর্ক সামাল দিতে এবার আসরে নামলেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিব্বল। যোজনা কমিশনের মাপকাঠি নিয়েই এবার পাল্টা প্রশ্ন তুললেন তিনি। সিব্বলের সুরে সুর মিলিয়েছেন কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিংও। তবে, হাতে আসা অস্ত্র সহজে যে তাঁরা ছাড়বেন না বুঝিয়ে দিয়েছে বিরোধী শিবিরও। 
রাজ বব্বর থেকে রশিদ মাসুদ। গরিবি কমানোর কৃতিত্ব দাবি করতে গিয়ে বিরোধীদের হাতেই পাল্টা অস্ত্র তুলে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।
 
বিপাকে পড়ে ক্ষমাও চাইতে হয়েছে রাজ বব্বরকে। কিন্তু, কংগ্রেস নেতারা বুঝছেন এভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল হবে না। গোটা বিষয়টি দলের কাছেই বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার দ্রারিদ্র সীমা নির্ধারণের মাপকাঠিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তাঁরা।
সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দ্বিগ্বিজয় সিং লিখেছেন, ``দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণে যোজনা কমিশনের মাপকাঠিগুলি কখনই  বুঝে উঠতে পারি না। এই মাপকাঠি সব জায়গায় এক হওয়াও অবাস্তব।``
 
দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণে তেণ্ডুলকর কমিটির হিসাবের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বল।
 
তবে, কংগ্রেস চাপে পড়ে পিছু হঠার চেষ্টা করছে বুঝে বিরোধীদের আক্রমণের ঝাঁঝ কমেনি। কপিল সিব্বল ও দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের মন্তব্যের কড়া সামলোচনা করেছ বিজেপি।
 
সিপিআই নেতা ডি রাজা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্ল্যানিং কমিশনের চেয়ারম্যান খোদ প্রধানমন্ত্রীই।
খাদ্য সুরক্ষা কর্মসূচি আগামি লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের তুরুপের তাস। আগে থেকেই সেই অস্ত্র কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে গিয়ে দলকেই বিপদে ফেলে দিয়েছেন বৈভবের পাহাড়ে বসে থাকা দুই সাংসদ। অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টায় নেমেছেন দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো দুঁদে নেতারা। তবে গত কয়েক বছরে খাদ্যপণ্যের লাগামছাড়া দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত তিক্ত। বিরোধী নেতারা হাল ছেড়ে দিলেও সাধারণ মানুষ কংগ্রেস নেতাদের এধরনের মন্তব্য ক্ষমা করবেন কিনা, সেবিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
 

.