মোদী-শাহের সাম্রাজ্যে বিজেপি সভাপতি পদে 'বন্ধু' জেপি নাড্ডাই
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হন জেপি নাড্ডা। ওই পদের জন্য আর কোনও মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি বলে খবর। এর আগে সভাপতি পদের জন্য নাড্ডার নাম প্রস্তাব রাখেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং নিতিন গডকড়ী
নিজস্ব প্রতিবেদন: সর্বসম্মত ভাবে বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হলেন জগত্ প্রকাশ নাড্ডা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই পদের দায়িত্বে থাকবেন। অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর গত জুলাই থেকে কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে, এবার পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হন জেপি নাড্ডা। ওই পদের জন্য আর কোনও মনোনয়নপত্র জমা পড়েনি বলে খবর। এর আগে সভাপতি পদের জন্য নাড্ডার নাম প্রস্তাব রাখেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং এবং নিতিন গডকড়ী। নরেন্দ্র মোদীর অত্যন্ত কাছের মানুষও। বিজেপি সভাপতি হওয়ার পর অমিত শাহ স্বতন্ত্র পরিসর তৈরি করতে পেরেছিলেন দলের অন্দরে। মোদী-শাহ জুটি শুধু দেশের রাজনীতিতেই নয় দলের মধ্যেও অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিলেন। ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পরই দেশে প্রায় সব রাজ্যেই গেরুয়া দুর্গ তৈরি করতে পেরেছিলেন অমিত শাহ। উত্তর-পূর্ব রাজ্যে বিজেপি সাফল্য অমিত-পর্বেই দেখা যায়।
আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: CAA সমর্থনে মিছিলে বিজেপির কর্মীকে সপাটে চড় মহিলা জেলা শাসকের
সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক রাজ্য হাতছাড়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। গো-হারা হারতে হয়েছে ঝাড়খণ্ডে। কাশ্মীর ইস্যু, সিএএ-এনআরসি নিয়ে দেশে উত্তাল পরিস্থিতি। শিয়রে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে হাল ধরছেন হিমাচল প্রদেশে প্রাক্তন মন্ত্রী নাড্ডা। অমিত শাহ যে ভাবে পার্টি ধ্বজা নিয়ে অশ্বমেধের ঘোড়া ছোটাতে পেরেছিলেন, , সেই বিপুল প্রত্যাশা নাড্ডা কতটা পূরণ করতে পারবেন এই প্রশ্নই এখন ঘোরাঘুরি করছে দলের অন্দরে।