Bihar Politics: বিহারে দ্রুত বদলাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ! ফিরতে চলেছে মহাগাঁটবন্ধন সরকার?
মঙ্গলবার বিধানসভা দলের বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। আরজেডিও তাদের বিধায়কদের পাটনায় থাকতে বলেছে। এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই জল্পনা চলছে যে বিহারের রাজনীতি খুব তারাতারি নতুন মোড় নিতে চলেছে। যদিও জেডিইউ জানিয়েছে যে তারা নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার অংশ হবে না কিন্তু দুই দলই একসঙ্গে জোটে রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে যে দুই দলের মধ্যে সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিহারে রাজনৈতিক জল্পনার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ফোনে কথা বলেছেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। দুই নেতার মধ্যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জেডিইউ এবং বিজেপির মধ্যে সমস্যার মাঝেই কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দুই নেতার কথোপকথনের বিষয় কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে। বলা হচ্ছে আগামী ৪৮ ঘণ্টা বিহারে জোটের রাজনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মহাজোটের সঙ্গে আবারও সরকার গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে জেডিইউ-এর। বিজেপি ছাড়া সব দলই বিধায়ক দলের বৈঠক ডেকেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সাংসদ-বিধায়কদের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ২০১৭ সালে, মহাজোট ভেঙ্গে বেরিয়ে যায় জেডিইউ। এরপরেই এনডিএ-তে যোগ দেয় তারা।
আরসিপি সিং-এর দাবি খারজ করে জেডিইউ নেতা লালন সিং বলেন ‘জেডিইউ কোনও ডুবন্ত জাহাজ নয়, এটি একটি পালতোলা জাহাজ, কিছু লোক এর ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। যারা এর ক্ষতি করার চেষ্টা করছিলেন তাদেরকে চিহ্নিত করেছেন নীতীশ কুমার এবং এটি মেরামতের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন।’
২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরে, মহাজোট গঠিত হয়। সেই সময়েও জেডিইউ মহাজোটের সঙ্গে ছিল। পাশাপাশি পাটনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিহার কংগ্রেসের ইনচার্জ। আরসিপি সিংয়ের পদত্যাগের পরে, জেডিইউ দলীয় সাংসদের একটি বৈঠক ডেকেছে। এর পরে রাজ্যের রাজনীতিতে আরও তীব্র হয়েছে জল্পনা। সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে সব সাংসদকে পাটনায় আসতে বলেছে দল। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন জেডিইউ-এর জাতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লালন সিংও।
আরও পড়ুন: Madhyapradesh : ধার মেটাতে ৩৫ লাখের বিমা করিয়ে স্ত্রীকে খুন!
এর পাশাপাশি মঙ্গলবার বিধানসভা দলের বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। আরজেডিও তাদের বিধায়কদের পাটনায় থাকতে বলেছে। এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করেই জল্পনা চলছে যে বিহারের রাজনীতি খুব তারাতারি নতুন মোড় নিতে চলেছে। যদিও জেডিইউ জানিয়েছে যে তারা নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার অংশ হবে না কিন্তু দুই দলই একসঙ্গে জোটে রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে যে দুই দলের মধ্যে সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
যদিও জেডিইউ জানিয়েছে যে তারা নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার অংশ হবে না তবে উভয় দলই একসঙ্গে রয়েছে। তবে রাজনৈতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে যে দুই দলের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক নেই। গত মাসে, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও যোগ দেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।