পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কেন রাজনীতি করছেন না রাহুল? প্রশ্ন ইকবাল আনসারির
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের দাবিতে মামলা লড়ছেন ইকবাল আনসারি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাশ্মীরের পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন রাহুলের নেতৃত্বে বিরোধী নেতারা। কিন্তু শ্রীনগর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তাঁদের। দিল্লিতে ফিরে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন সনিয়া-তনয়। আর তা নিয়েই এবার রাহুলকে পাল্টা দিলেন অযোধ্যা জমি বিবাদের মামলাকারী ইকবাল আনসারি। তাঁর প্রশ্ন, দেশের অনেক জায়গায় সমস্যা রয়েছে, সেখানে কেন আপনাদের নেতারা যাচ্ছে না? আনসারির কটাক্ষ, পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অংশ। সেখানে গিয়ে রাজনীতি কেন করছেন না!
ইকবাল আনসারির কথায়,'কাশ্মীরের মানুষের অবস্থা বেহাল হয়েছিল। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে দেশে এক আইনের শাসন এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এতে মানুষেরভালো হবে। দেশের চিন্তা থাকলে পাকিস্তানে গিয়ে সমস্যার সমাধান করুন রাহুল ও কংগ্রেস। অন্য জায়গায় গিয়ে সমস্যার সমাধান বের করুন, রাজনীতি করুন।'
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের দাবিতে মামলা লড়ছেন ইকবাল আনসারি। তাঁর অভিমত, কাশ্মীর নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয় কংগ্রেসের। দেশে হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খৃষ্ট্রান শান্তি চান। কাশ্মীরে কংগ্রেস ফায়দা তুলে এসেছে। কংগ্রেসের রাজনীতি এবার খতম হয়ে যাবে।
শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের অবস্থা দেখতে যায় বিরোধীদের প্রতিনিধি দল। রাহুলের নেতৃত্বে ওই দলে ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী, কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, আরজেডি-র মনোজ ঝা, শরদ যাদব, এনসিপি-র মজিদ মেনন, ডিএমকের তিরুচি সিবা এবং তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী। কিন্তু তাঁদের শহরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শ্রীনগর থেকে ফেরত পাঠানো হয় তাঁদের। দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে রাহুল গান্ধী বলেন,'ক'দিন আগে আমাকে আমন্ত্রণ করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল। ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলাম। মানুষ কীভাবে আছেন, সেটাই দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের বিমানবন্দরে বাইরে যেতে দেওয়া হল না। সাংবাদিকদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট, জম্মু-কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই।'
আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: আমিরশাহিতে ভারতের রুপে কার্ডের সূচনা করে প্রসাদের লাড্ডু কিনলেন মোদী