চলছে আন্তর্জাতিক চক্ষুদান পক্ষ, রক্তদানে এগিয়ে রইলেও চক্ষুদানে পিছিয়ে রাজ্য
রক্তদানে রাজ্য এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে রয়েছে চক্ষুদানে। এই তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে গুজরাটের।
প্রতিবছর কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের জন্য এক কোটিরও বেশি চোখের চাহিদা হয়। সেই অনুপাতে রাজ্যে চক্ষু সংগ্রহের সংখ্যা অনেকটাই কম। আন্তর্জাতিক ম্যাপে চক্ষুদানে সবচেয়ে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। এই দেশ থেকে চোখ অন্য দেশে পাঠানোর ব্যবস্থাও রয়েছে।তালিকায় প্রথমেই রয়েছে গুজরাট। তারপর তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা এবং কর্নাটক। সাত নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ। গত দশ বছরের নিরিখে রাজ্যে চক্ষুদানের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু, রক্তদানে তিন নম্বরে থাকা পশ্চিমবঙ্গ চক্ষুদানে অনেকটাই পিছিয়ে। গত তিন বছরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে ২ হাজার ৮০০টি চোখ সংগ্রহ হয়েছে।
২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ মার্চ পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা ৩ হাজার ২০০। ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত চক্ষু সংগ্রহের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার। কর্নিয়া যতগুলি সংগ্রহ করা হয়, তার অর্ধেকই ব্যবহার করা যায় না। ফলে বাড়তে থাকা চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে প্রয়োজন আরও বেশি কর্নিয়া।
গতবছর দেশে ৮০ থেকে ৯০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে চক্ষু সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪৪ হাজার। মৃতের সংখ্যা আর চক্ষুদানের অনুপাতের বৈষম্য ঘোচাতেই প্রতিবছর ২৫ অগাস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পালিত হয় আন্তর্জাতিক চক্ষুদান পক্ষ।