২০১৪ সাল থেকে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি: নির্মলা সীতারমন
মুদ্রাস্ফীতির হার কম থাকলেও যানবাহন উত্পাদনসহ একাধিক বাজারে মন্দা নিয়ে চিন্তায় অর্থমন্ত্রক।
নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতির ইস্যুতে কারও সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ নেই। শুক্রবার বিভিন্ন শিল্প ও কর দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
নির্মলা বলেন, "এর আগে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। কিন্তু তার পরে ২০১৪ সালে থেকে বাড়েনি দাম।" ইউপিএ জমানায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, "সেই সময়ে দুই সংখ্যার হারে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেত।"
চলতি বছর জুলাইয়ে খুচরা বিপণনে মুদ্রাস্ফীতির হার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের স্থির করে দেওয়া ৪% লক্ষ্যমাত্রার নীচেই থেকেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। এর ফলে এক টানা ১২ মাস লক্ষ্যমাত্রার নীচেই থেকেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। ফলে, আগামী অক্টোবরে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের স্থির করা হারের অঙ্ক কমানো হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন : শহলা রশিদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা রুজু করল পুলিস
গত জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৩.১৫%। জুন মাসে ৩.১৮% ছিল মুদ্রাস্ফীতির হার।
দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গত সপ্তাহে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। জিএসটি, আয়কর আইনেও ছোটখাটো পরিবর্তন ছাড়াও একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে চাঙ্গা করতে শুক্রবার তাদের ৭০,০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এছাড়াও ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় গতি আনতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ককে মিশিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার।
মুদ্রাস্ফীতির হার কম থাকলেও যানবাহন উত্পাদনসহ একাধিক বাজারে মন্দা নিয়ে চিন্তায় অর্থ মন্ত্রক। কৃষিক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণ হ্রাস ও বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে বাজারে। এর থেকে পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হচ্ছে বাজারে চাহিদার পরিমাণ। এমতাবস্থায় বেসরকারি লগ্নির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করাই এখন সরকারে কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।