লাদাখে ফের ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ, লাল ফৌজের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ
জানা যাচ্ছে, আরেক জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- লাদাখের প্যাঙ্গন লেকের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ফের সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল চিনা সেনা। আর এবারও ভারতচীয় সেনা জওয়ানরা তাদের অসত্ উদ্দেশ্য বানচাল করে দিয়েছে। ২০ অগাস্ট থেকেই ভারতীয় সেনার কাছে ইনটেলিজেন্স ইনপুট ছিল যে প্যাঙ্গনের দক্ষিণ প্রান্তে একটি পাহাড়ে কব্জা করতে চাইছে চিনা সেনা। সেই মতো ওই এলাকায় পাহাড়া বাড়িয়েছিল ভারতীয় সেনা। ২৯-৩০ অগাস্ট রাতে চিনা সেনার প্রায় ৫০০ জওয়ান ওই এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু অনেকদিন আগে থেকেই ওই এলাকায় ভারতীয় সেনা কড়া নজর রেখেছে। চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিতে পারলেও ভারতীয় সেনা এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। জানা যাচ্ছে, আরেক জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন।
৫ জুন রাতের অন্ধকারে ভারত-চিন সেনাবাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি হয়েছিল। ভারতীয় সেনা অভিযোগ করেছিল, লাল ফৌজের জওয়ানরা তাঁদের উপর কাঁটা লাগানো বল্লম নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। সেই নৃশংস হামলায় ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হন। ওদিকে ৩৫ জন চিনা সেনাও ওই ঘটনায় প্রাণ হারান। যদিও চিনের প্রশাসন একবারও স্বীকার করেনি যে তাদের ৩৫ জন সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছেন। তবে নিহত সেনাদের নামে সীমান্ত এলাকায় শহিদ বেদি স্থাপন করেছে চিনের প্রশাসন। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সেই ছবি বেরিয়েছে। চিন এর পর থেকেই সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমিত করতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি। তবে আলোচনার আড়ালে বারবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে তারা।
আরও পড়ুন- "আমি কৃতজ্ঞ আমায় এনকাউন্টার করা হয়নি!" ছাড়া পেয়েই "উত্তর প্রদেশের রাজাকে" তোপ দাগলেন কাফিল
জানা গিয়েছে, এবার সীমান্তে শহিদ হওয়া সেনা জওয়ান স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স-এর ছিলেন। তিনি মূলত ছিলেন তিব্বতের। তবে সেনার পক্ষ থেকে এখনও সেই জওয়ানের শহিদ হওয়ার কোনও খবর দেওয়া হয়নি। তিব্বতের সংসদের নির্বাসিত সদস্য নামগাল ডোলকার সেই জওয়ানের শহিদ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি আরও এক জওয়ানের আহত হওয়ার খবরও দিয়েছেন। ২৯-৩০ অগাস্ট রাতের পর ৩১ তারিখেও লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করেছিল চিন সেনা। এর পর ১লা সেপ্টেম্বরও প্যাঙ্গন লেকের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে লাল ফৌজ। তবে ভারতীয় সসেনার কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। ফলে চিনের অনুপ্রবেশ রুখে দিতে সচেষ্ট ছিলেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা।