চিনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন ভারতীয় আইনজীবী, দুই সাক্ষী মোদী ও ট্রাম্প

করোনা সারা বিশ্বে ছড়ানোয় চিনের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের এই আইনজীবী তেমনই মনে করেন।

Updated By: Jun 11, 2020, 01:24 PM IST
চিনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন ভারতীয় আইনজীবী, দুই সাক্ষী মোদী ও ট্রাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদন- আমেরিকা এর আগে সরাসরি অভিযোগ করেছিল, করোনাভাইরাস চিনের ল্যাব থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, সঠিক সময় চিন সতর্কতা জারি করলে করোনা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ত না। আর এই নিয়ে আমেরিকার আদালতে চিনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তবে চিন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার আমেরিকার দাবি নাকচ করেছে। করোনাভাইরাসের সৃষ্টি প্রকৃতি থেকেই। বলেছে চিন ও হু। তবে অনেকেই মনে করেন, করোনা সারা বিশ্বে ছড়ানোয় চিনের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের এক আইনজীবীও তেমনই মনে করেন। তিনি এবার নতুন করে চিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

বিহারের ওই আইনজীবীর নাম মুরাদ আলি। চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। মারণ ভাইরাসের জন্য বহু দেশে লকডাউন চলছে। দেশের অর্থনীতি ধুঁকছে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। দুবেলা খাবার জুটছে না বহু মানুষের। লকডাউনের জেরে প্রবাসী শ্রমিকদের অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। আর এই যাবতীয় দুর্ভোগের জন্য দায়ি চিন। এমনটাই মনে করেন আইনজীবী। তাই তিনি সরাসরি আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কোনওভাবেই চিনকে ছেড়ে দিতে রাজি নন তিনি। এখানেই শেষ নয়। মুরাদ আলি তাঁর দায়ের করা মামলায় দুজন সাক্ষী হিসাবে রেখেছেন নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। আর এসবের থেকেও বড় কথা, আদালত তাঁর মামলার শুনানিতে সায় দিয়েছে। ১৬ জুন এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন-  আমার বিশ্বাস, কলকাতা আবার দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৬৯, ২৭০, ২৭১, ৩০২, ৩০৭, ৫০০, ৫০৪ এবং ১২০ (খ) ধারায় মামলা দায়ের করেছেন মুরাদ আলি। সমস্ত সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য তাঁর মামলার ভিত্ত বলে দাবি করেছেন এই আইনজীবী। শি জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে আমেরিকায় একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সেসব মামলার শুনানিও হয়েছে। কিন্তু জিনপিংয়ের ডাক পড়েনি। এমনকী তাঁর কোনও ভোগান্তিও হয়নি। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতীয় মুখপাত্র সান ওয়েডংয়ের বিরুদ্ধে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে ভারতেও। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সেসব মামলার শুনানিও হয়েছে। কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি।

.