চাপ বাড়াতে পাকিস্তানের থেকে MFN মর্যাদা কেড়ে নেওয়া ভাবনা ভারতের
পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এবার MFN চুক্তি নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। এমনিতেই পাকিস্তানে নভেম্বরে সার্ক বৈঠকে ভারত যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এরপরই, তাদের দেওয়া বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের (MFN) মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনাও শুরু হয়েছে দিল্লির দরবারে। আজই সেই বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক : পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়াতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এবার MFN চুক্তি নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। এমনিতেই পাকিস্তানে নভেম্বরে সার্ক বৈঠকে ভারত যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এরপরই, তাদের দেওয়া বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের (MFN) মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনাও শুরু হয়েছে দিল্লির দরবারে। আজই সেই বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বৈঠকে ৫৬ বছরের পুরনো সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি সহ পাকিস্তানের সঙ্গে একাধিক বাণিজ্যচুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে বাণিজ্য ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে দেওয়া প্রতিটি সুবিধাই কেড়ে নিতে চাইছে ভারত। ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানকে MFN তকমা দেয় ভারত। সেই তকমা অনুসারে বাণিজ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রকম বৈষম্য রাখেনি ভারত। অথচ, নিয়ম অনুসারে ভারতকেও সেই তকমা দেওয়ার কথা থাকলেও পাকিস্তান কিন্তু আজও ভারতকে তা দেয়নি। আর তাই উরি হামলার জের হিসেবে ভারত এবার পাকিস্তানকে দেওয়া সেই মর্যাদা কেড়ে নিতে চাইছে।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে একঘরে করে ছাড়বে ভারত, হুঁশিয়ারি নরেন্দ্র মোদীর
তবে, গত কয়েক বছরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার অভাবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ এতটাই কম, যে তাতে নিষেধাজ্ঞা আনাটা কার্যত অর্থহীন। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে পাকিস্তানে ভারতের রপ্তানির আর্থিক পরিমাণ দাঁড়ায় ২.১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চুক্তি অনুসারে দিল্লি মোট যা আমদানি ও রফতানি করে তার ১ শতাংশের ভাগিদার ইসলামাবাদ। MFN মর্যাদা দেওয়ার পরেও যার বিন্দুমাত্র উন্নতি দেখা যায়নি। এখনও আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখায় বাণিজ্য হয় পণ্য বিনিময় প্রথায়।
সম্প্রতি, কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ১৮ জন ভারতীয় জওয়ানের। এরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে ভারত। বাতিল করেছে সার্ক সম্মেলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।