দেশের দারিদ্র দূর করতে এল রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জ, আপনি প্রস্তুত চ্যালেঞ্জ নিতে?

জটিল স্নায়ুরোগের চিকিত্‍সায় যখন দেশজুড়ে চলছে আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ, তখনই দেশের দারিদ্র দূর করতে রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জ নিয়ে এলেন হায়দরাবাদের এক মহিলা।

Updated By: Aug 29, 2014, 11:33 AM IST
দেশের দারিদ্র দূর করতে এল রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জ, আপনি প্রস্তুত চ্যালেঞ্জ নিতে?

ওয়েব ডেস্ক: জটিল স্নায়ুরোগের চিকিত্‍সায় যখন দেশজুড়ে চলছে আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ, তখনই দেশের দারিদ্র দূর করতে রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জ নিয়ে এলেন হায়দরাবাদের এক মহিলা।

গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জ। হয়দরাবাদের ৩৮ বছর বয়সী মঞ্জু লতা কলানিধির নিয়ে আসা রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণকারীকে এক বাটি চাল নিয়ে কোনও এক দরিদ্র মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে। তারপর সেই ভিডিও বা ছবি ফেসবুকে আপলোড করে #ricebucketchallenge ট্যাগের মাধ্যমে অন্য বন্ধুদের ছুঁড়ে দেওয়া যাবে চ্যালেঞ্জ। এরমধ্যেই ফেসবুক পেজ ভরে গিয়েছে রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জের ছবিতে। বৃহস্পতিবার পেজের লাইক পৌছে গিয়েছে ৫০ হাজারে।

বুধবার করিমনগর কলেজের ২ হাজার জন ছাত্রছাত্রী মোট ২ হাজার ২০০ কিলো চাল তুলে দেন দরিদ্র মানুষদের হাতে। শুধু হায়দরাবাদেই নয় সারা দেশ, এমনকী বিদেশেও মানুষ স্বেচ্ছায় গ্রহণ করছেন রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জ। ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা, বয়স্ক থেকে যুবক, গরীব অথবা ধনী, তারকা বা সাধরণ সকলেই অংশ নিচ্ছেন রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জে। এর মধ্যেই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন মাইক্রোসফটরে সিইও সত্য নাডেলা ও ব্যাডমিন্টন তারকা জোয়ালা গুট্টা।

ফেসবুক পেজে ব্যবহৃত হলুদ, কালো ব্যানারই এখন রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জের মাসকট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মূল পেজের বাইরেও রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জ প্রচারের স্বার্থ খোলা হয়েছে পেজ। কলানিধি জানালেন, "আইস বাকেট চ্যালেঞ্জ ভাইরাল হওয়ার পরই মনে হয় এমন কিছু করতে হবে যা দেশের সত্যিই প্রয়োজন। তখনই মাথায় আসে রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জের কথা। আমি দেখছিলাম আমার ভারতীয় বন্ধুরা নিজেদের মাথায় বরফ জল ঢালছেন। আমি একটি ওয়েবসাইটে কাজ করি যারা দারিদ্র ও ক্ষুধা নিয়ে কাজ করে। সেখান থেকেই আমার মাথায় রাইস বাকেট চ্যালেঞ্জের কথা আসে। আমি একজন দরিদ্র মানুষকে ২০ কিলো চাল দিয়েছি।"

গত শুক্রবার ফেসবুকে নিজের ছবি পোস্ট করে কলানিধি লেখেন, "চলো আই অ্যাম অল রেডি ফর আ #রাইসবাকেটচ্যালেঞ্জ..দেশি স্টাইল...রান্না করুন বা এক বাটি চাল বা বিরিয়ানি কিনে আপনার এলাকার কোনও দরিদ্র মানুষের হাতে তুলে দিন। যদি চ্যালেঞ্জ না নিতে পারেন তাহলে সবথেকে কাছের সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকার ওষুধ দিয়ে আসুন। কে কে যোগ দিচ্ছেন?"

 

.