ইতালিয় হেলিকপ্টার কেনা দুর্নীতিতে চাপে কেন্দ্র

দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীদের হাতে উঠে এল আরও একটি অস্ত্র। ভিআইপিদের জন্য ইতালিয় সংস্থার হেলিকপ্টার কেনা নিয়ে হয়েছে বিস্তর বেনিয়ম। আজ সংসদে এমনই রিপোর্ট জমা দিল সিএজি। বাড়িয়ে দাম দেখানো থেকে কপ্টারের গুণমান, সবক্ষেত্রেই দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে সিএজি রিপোর্টে।

Updated By: Aug 14, 2013, 09:35 AM IST

দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীদের হাতে উঠে এল আরও একটি অস্ত্র। ভিআইপিদের জন্য ইতালিয় সংস্থার হেলিকপ্টার কেনা নিয়ে হয়েছে বিস্তর বেনিয়ম। আজ সংসদে এমনই রিপোর্ট জমা দিল সিএজি। বাড়িয়ে দাম দেখানো থেকে কপ্টারের গুণমান, সবক্ষেত্রেই দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে সিএজি রিপোর্টে।
৩৭০০ কোটি টাকার চুক্তি। কেনার কথা ছিল ১২টি হেলিকপ্টার। সবগুলিই দেশের ভিআইপি নেতাদের ব্যবহারের জন্য। আর তাতেই ব্যাপক বেনিয়ম। সংসদে জমা পড়া সিএজি রিপোর্টে উঠে এসেছে অন্তত দশটি ক্ষেত্রে নিয়মের কোনও তোয়াক্কাই করা হয়নি।
 
১. অগস্ত্য ওয়েস্টল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করা থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়া। গোটা প্রক্রিয়াতেই কোনও নিয়ম মানেনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
 
২. সিএজি রিপোর্ট বলছে, ভারতের তরফে হেলিকপ্টারগুলির দাম বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। ইতালিয় সংস্থার তরফে দেখানো দামের সঙ্গে সেই অঙ্কের ফারাকটা অনেকটাই।
 
৩. ২০০৭ সালে দেশের বাইরে হেলিকপ্টারগুলির ট্রায়াল করিয়েছিলেন তত্কালীন বায়ুসেনা প্রধান ফালি মেজর। এক্ষেত্রেও মানা হয়নি নিয়ম।
 
৪. শুধু ফালি মেজর নন। তাঁর উত্তরসূরি বায়ুসেনা প্রধান এস পি ত্যাগীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। অভিযোগ, অগস্ত্য ওয়েস্টল্যান্ডের হয়ে তদ্বির করেছিলেন ত্যাগী আর তাঁর তিন ভাইপো।
 
৫. যে হেলিকপ্টারগুলি কেনার কথা ছিল, সেগুলি কোনওদিন পরীক্ষাই করেনি বায়ুসেনা।
 
৬. যে হেলিকপ্টার কেনার কথা ছিল, সেগুলির বদলে অন্য হেলিকপ্টার দিয়ে হয়েছিল ট্রায়াল।
 
৭. রিপোর্টে বর্তমান সিএজি শশীকান্ত শর্মার দিকেও তোলা হয়েছে আঙুল। কারণ, চুক্তির সময় তিনি ছিলেন প্রতিরক্ষা দফতরের অফিসার। হেলিকপ্টারের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের পিছনে তাঁর হাত ছিল বলেও উল্লেখ রয়েছে সিএজি রিপোর্টে।
 
৮. প্রথমে ঠিক ছিল হেলিকপ্টারগুলি ছহাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারবে। কিন্তু, কোনও এক অজানা কারণে সেই উচ্চতাকেই নামিয়ে আনা হয় সাড়ে চার হাজার ফুটে।
 
৯. দুর্নীতি সামনে আসার পরই ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালিয় সংস্থাকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় ভারত। অন্যদিকে, অগস্ত্য ওয়েস্টল্যান্ডও জানিয়ে দেয়, কোনও ঘুষ নেয়নি তারা।
 
১০. ফেব্রুয়ারি মাসে স্থগিত হয় চুক্তি। অথচ তার আগেই ভারতে চলে আসে তিনটি হেলিকপ্টার।
 
ফলে, সিএজি রিপোর্টের জেরে আরও অস্বস্তিতে ইউপিএ সরকার। আর লোকসভা ভোটের মুখে বিরোধীদের হাতে উঠে এল আরও একটা হাতিয়ার।

.