মমতার বাঙালিপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তসলিমা নাসরিন
জোড়া টুইটে মমতার বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তসলিমা লিখেছেন, মমতাজি ৪০ লক্ষ বাঙালির জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেছেন দেখে ভাল লাগছে। অসম থেকে চলে এলে তাদের আশ্রয় দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু আমার প্রতি তাঁর কোনও দয়ামায়া নেই কেন? আমাকে তো তাঁর বিরোধী দল বাংলাছাড়া করেছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: NRC বিতর্কে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। টুইটে মমতাকে তসলিমার প্রশ্ন, অসমের উদ্বাস্তুদের প্রতি এত সহানুভূতি তাহলে আমি বাদ কেন?
গত সোমবার সোমবার অসমে প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির খসড়া তালিকা। তাতে বাদ পড়েছে ৪০ লক্ষ মানুষের নাম। এদের অধিকাংশই বাংলাভাষী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, অসম থেকে পরিকল্পনামাফিক বাঙালিদের তাড়াতে চাইছে বিজেপি সরকার। এমনকী অসমের উদ্বাস্তু বাঙালিদের পশ্চিমবঙ্গে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
মমতার এই অবস্থানকে টুইটারে কটাক্ষ করেছেন তসলিমা। জোড়া টুইটে মমতার বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তসলিমা লিখেছেন, মমতাজি ৪০ লক্ষ বাঙালির জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেছেন দেখে ভাল লাগছে। অসম থেকে চলে এলে তাদের আশ্রয় দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু আমার প্রতি তাঁর কোনও দয়ামায়া নেই কেন? আমাকে তো তাঁর বিরোধী দল বাংলাছাড়া করেছিল।
Good to see Mamtaji is so sympathetic to 40 lakh Bengali speaking people. She even says West Bengal will shelter those people left out of Assam. How come she doesn't have any sympathy for me who was thrown out of Bengal by her rival party?
— taslima nasreen (@taslimanasreen) July 31, 2018
এর পর আরও এক টুইটে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তসলিমা। লেখেন, সমস্ত উদ্বাস্তু বাংলাভাষী মানুষের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমবেদনা নেই। থাকলে তাঁর আমার প্রতিও সমবেদনা থাকত। তাহলে তিনি আমাকে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দিতেন।
কেমন দেখতে হয় ATM স্কিমার, কী করে বাঁচবেন জালিয়াতির হাত থেকে?
Mamtaji does not have sympathy for all rootless or homeless Bengali speaking people. If she had, she would have sympathy for me and she would have allowed me to enter West Bengal.
— taslima nasreen (@taslimanasreen) July 31, 2018
প্রায় আড়াই দশক বাংলাদেশছাড়া তসলিমা। ২০০৪ সাল থেকে বিদেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র নিয়ে কলকাতায় থাকতেন তিনি। ২০০৭ সালে তসলিমাকে বাংলাছাড়া করার দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতার একাংশ। তত্কালীন বাম সরকার তসলিমার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করলে জয়পুরে চলে যান তিনি। সেখানে কিছুদিন থাকার পর যান দিল্লিতে।