একই সঙ্গে সাংসদ এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে কীভাবে থাকছেন যোগী, অ্যাটর্নি জেনারেলকে সমন পাঠাল লখনউ হাইকোর্ট

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে অন্যতম একজন কেশব প্রসাদ মৌর্যের বিরুদ্ধে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। একই সঙ্গে সাংসদ এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে কীভাবে থাকছেন যোগী আদিত্যনাথ এবং কেশব চন্দ্র মৌর্য? এই ইস্যুতেই অ্যাটর্নি জেনারেলকে সমন পাঠাল লখনউ আদালত।  

Updated By: May 15, 2017, 09:44 PM IST
একই সঙ্গে সাংসদ এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে কীভাবে থাকছেন যোগী, অ্যাটর্নি জেনারেলকে সমন পাঠাল লখনউ হাইকোর্ট

ওয়েব ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং দুই উপ-মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে অন্যতম একজন কেশব প্রসাদ মৌর্যের বিরুদ্ধে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। একই সঙ্গে সাংসদ এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে কীভাবে থাকছেন যোগী আদিত্যনাথ এবং কেশব চন্দ্র মৌর্য? এই ইস্যুতেই অ্যাটর্নি জেনারেলকে সমন পাঠাল লখনউ আদালত।  
 
মামলাকারী সমাজকর্মী সঞ্জয় শর্মার অভিযোগ, যেহেতু যোগী আদিত্যনাথ এবং কেশব মৌর্য দুজনেই সাংসদ এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক থেকে বেতন পান সেহেতু তাঁদের দ্বিতীয় কোনও সরকারি পদে বহাল থাকার অধিকার নেই। এখানেই শেষ নয়, আরও এক ধাপ এগিয়ে সমাজকর্মী সঞ্জয় শর্মা 'প্রিভেনশন অব ডিসকোয়ালিফিকেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯'-এর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ এবং কেশব প্রসাদ মৌর্যের নিয়োগকে অকার্যকর বলেও কটাক্ষ করেছেন। 

আদালতে এই জনস্বার্থ মামলা শুনেছেন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সুধীর আগরওয়াল এবং বিচারপতি বীরেন্দ্র কুমার মামলাকারীর আইনজীবীর কথা শোনার পর এই ইস্যুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহাতগিকে সমনও পাঠিয়েছেন।  

উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নেন গোরখপুরের বিজেপি সাংসদ যোগী আদিত্যনাথ। সেই দিনই উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ফুলপুরের সাংসদ কেশব চন্দ্র মৌর্যও। তবে এখনও পর্যন্ত সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি দুজনের কেউই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন যেহেতু সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সেহেতু এখনও পর্যন্ত সাংসদ পদে বহাল রাখা হয়েছে এই দুই বিজেপি সাংসদকেই। আর এখানেই যোগী এবং কেশব চন্দ্র মৌর্যের নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন সমাজকর্মী সঞ্জয় শর্মা। তার ভিত্তিতেই আদালতের সমনও পৌঁছেছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে। এখন দেখার এই 'সঙ্কট' মোকাবিলায় কী রণকৌশল গ্রহণ করে বিজেপি। দুই সাংসদের ইস্তফা নাকি অন্য কোনও পথের অনুসরণ, উত্তর দেবে সময়ই। 

.