আজ শপথ নিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, উপস্থিত থাকবেন তিন হাজারের বেশি অতিথি
আজ সন্ধে ছটায় দেশের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। প্রথা অনুযায়ী দরবার হল নয়, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে। মোদীর সঙ্গেই শপথ নেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা। এ রাজ্য থেকে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র মন্ত্রী হওয়া একরকম নিশ্চিত। লোকসভার স্পিকার হতে পারেন সুমিত্রা মহাজন।
আজ সন্ধে ছটায় দেশের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। প্রথা অনুযায়ী দরবার হল নয়, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে। মোদীর সঙ্গেই শপথ নেবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা। এ রাজ্য থেকে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র মন্ত্রী হওয়া একরকম নিশ্চিত। লোকসভার স্পিকার হতে পারেন সুমিত্রা মহাজন।
রবিবার রাতে বিবৃতি দিয়েই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আকারে ছোট মন্ত্রিসভার পক্ষে নরেন্দ্র মোদী। কারা কারা আজ শপথ নেবেন তার তালিকা আজ সকালেই রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
চন্দ্রশেখর এবং অটলবিহারী বাজপেয়ী শপথ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে। নরেন্দ্র মোদীর ইচ্ছানুযায়ী এ বারও সেখানেই হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। উপস্থিত থাকবেন তিন হাজারের বেশি অতিথি। রাষ্ট্রপতি ভবনে একসঙ্গে এত অতিথি সমাগম এর আগে হয়নি। দরবার হলে এতজনের জায়গা না হওয়ায় ফোরকোর্টেই মোদীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই শপথ নেবেন অন্য মন্ত্রীরা।
ইউপিএ সরকারে মন্ত্রীর সংখ্যা ছিল ৭১। রবিবার রাতে গুজরাত ভবনে নরেন্দ্র মোদীর সচিবালয় থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বহরে বড় মন্ত্রিসভা চাইছেন না ভাবী প্রধানমন্ত্রী। তিনি চাইছেন আকারে ছোট অথচ কর্মদক্ষ মন্ত্রিসভা। সে ক্ষেত্রে নতুন সরকারে মন্ত্রীদের সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৫ সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। কিন্তু, কারা জায়গা পাবেন মোদী মন্ত্রিসভায়?
শপথের আগের দিনও এ নিয়ে বজায় রয়েছে চূড়ান্ত গোপনীয়তা। বিজেপি নেতারাই বলছেন, খোদ নরেন্দ্র মোদী এবং আরএসএস শীর্ষ নেতারা ছাড়া এখনও পর্যন্ত কেউ জানেন না সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী হিসাবে আর কারা শপথ নেবেন।
এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে মন্ত্রী হতে পারেন, সুষমা স্বরাজ, নীতীন গড়করি, বেঙ্কাইয়া নাইডু। মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন রবিশঙ্কর প্রসাদ, অরুণ জেটলি ও বিজেপির কোষাধ্যক্ষ পীযূষ গোয়েল।
উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের পর হিন্দি বলয়ের হৃদয়পুর থেকে একাধিক সাংসদ মন্ত্রী হতে পারেন। মোদী চাইছেন, মানুষের সঙ্গে সংযোগ রেখে চলতে পারবেন এমন সাংসদদেরই মন্ত্রী করতে। সেক্ষেত্রে, অভিজ্ঞতা কম থাকলেও ক্ষতি নেই।
নতুন সরকারে কী ভূমিকা নেবেন লালকৃষ্ণ আডবাণী ও মুরলী মনোহর যোশী তা এখনও স্পষ্ট নয়। জানা যাচ্ছে সক্রিয় রাজনীতিতে থাকার জন্য দুজনেই লোকসভার স্পিকার হতে চাইছেন না। আডবাণী-যোশী দলকেও জানিয়েছেন সে কথা। তাঁরা রাজি না হলে স্পিকার হতে পারেন সুমিত্রা মহাজন।
রবিবার, দিনভর দল ও শরিক নেতাদের সঙ্গে দিল্লির গুজরাত ভবনে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী। আরএসএস দফতর কেশব কুঞ্জেও ছিল নেতাদের আনাগোনা। শিবসেনা, টিডিপি, এলজেপির মতো শরিক দলের নেতাদেরও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সামিল করা নিয়ে চলছে ভাবনাচিন্তা। এ দিন মোদীর সঙ্গে দেখা করেন টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু। তবে, শেষপর্যন্ত কারা মন্ত্রী হচ্ছেন তা এখনও অজানা। সোমবার মন্ত্রী হিসাবে যাঁরা শপথ নেবেন তাঁরাও জানেন না যে শিকে ছিঁড়তে চলেছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, দলের অনেক নেতারাই এখন অপেক্ষা করছেন খোদ মোদী বা তাঁর ঘনিষ্ট অমিত শাহের ফোনকলের। তবে, অমিত শাহ নিজে কি মোদী মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন?
বিজেপি নেতারা বলছেন, সে কথা জানেন শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদীই।