ভারতের যে গ্রামে বহু যুগ আগেই ট্যাটুর চল ছিল
ছত্তিশগড়ের একটি ছোট্ট গ্রাম। প্রায় ৫ যুগ আগে থেকে ট্যাটুর প্রচলন শুরু হয় এই গ্রামে। ট্যাটুকে এখন ফ্যাশনের আওতায় আনার পর থেকে প্রায় সকলের দেহের কোনও না কোনও স্থানে উঁকি ঝুঁকি মারতে দেখা যায় ট্যাটুকে। তবে এই গ্রামে শরীরের কোনও একটা অংশে নয় সারা শরীরেই ট্যাটু বানানোর প্রচল শুরু হয়েছিল। ভগবান 'রামে'র নাম সারা শরীরে ট্যাটু বানিয়ে লেখা হত।
ওয়েব ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের একটি ছোট্ট গ্রাম। প্রায় ৫ যুগ আগে থেকে ট্যাটুর প্রচলন শুরু হয় এই গ্রামে। ট্যাটুকে এখন ফ্যাশনের আওতায় আনার পর থেকে প্রায় সকলের দেহের কোনও না কোনও স্থানে উঁকি ঝুঁকি মারতে দেখা যায় ট্যাটুকে। তবে এই গ্রামে শরীরের কোনও একটা অংশে নয় সারা শরীরেই ট্যাটু বানানোর প্রচল শুরু হয়েছিল। ভগবান 'রামে'র নাম সারা শরীরে ট্যাটু বানিয়ে লেখা হত।
ওই গ্রামের একজন বয়স্ক বাসিন্দা হলেন মাহেত্তর রাম ট্যান্ডন। ৭৬ বছর বয়সি এই বয়স্ক মানুষটি ভগবানের নামের এই ট্যাটুর জন্য গর্বিত বোধ করেন। যাঁর পরনে থাকে সাদা লুঙ্গি মাথায় ময়ূরের পালকের তৈরি মুকুট। তিনি জানান, এই ট্যাটুগুলি করার পর থেকে তিনি পুর্জন্ম লাভ করেছিলেন। ছত্তিশগড়ে নিচু জাতের হিন্দুদের মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হত। তাদের জন্য দেওয়াল তুলে দেওয়া হত। তাই তখন থেকেই উঁচু জাতের হিন্দুদের কাছে বার্তা দেওয়ার জন্য এই ট্যাটু প্রথা চালু করা হয়। যেখানে উঁচু জাতের হিন্দুদের কাছে বার্তা দেওয়া হয়, যে ভগবান শুধু মন্দিরেই সীমাবদ্ধ নন, তিনি সর্বত্র বিচরণ করে থাকেন।
তবে সময়ের সঙ্গে এবং রোদের প্রকোপে তাঁর ট্যাটুগুলি বিবর্ণ হয়ে যেতে শুরু করেছে। তবে এই প্রচলন এখনও পর্যন্ত বর্তমান রয়েছে গ্রামের নতুন প্রজন্মের মধ্যে। তবে তারা সারা দেহে ভগবানের নাম না লিখে বুকের ওপরে ভগবান রামের নাম লেখেন। এই ভাবেই ছোট্ট একটা গ্রামে নিজেদের বিশ্বাসের মধ্যে দিয়ে বেঁচে রয়েছেন 'রাম'।
(তথ্যসূত্র-স্কুপহুপ.কম)