রোজ প্রার্থনার সময়ে ১৪ বার ওঠবস, হরিয়ানার স্কুলে বাধ্যতামূলক হল এই ‘সুপার ব্রেন যোগা’
আপাতত তা চালু করা হয়েছে ভিওয়ানির একটি সরকারি স্কুলে
নিজস্ব প্রতিবেদন: সিট-আপ নাকি মগজের শক্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। এমনটাই মনে করে হরিয়ানা স্কুল বোর্ড। তাই এই ‘সুপার ব্রেন যোগা’-কে বাধ্যতামূলক করল বোর্ড।
আরও পড়ুন-বাজেটে আজ কী কী ঘোষণা করতে পারে মোদী সরকার?
রাজ্য স্কুল বোর্ড সেক্রেটারি রাজীব কুমার সংসবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ওঠবস করলে মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি প্রমাণিত সত্য। তাই স্কুলে তার করানো হচ্ছে।
Haryana: Under State School Education Board Pilot Project, Govt School in Bhiwani makes sit-ups mandatory for students. Rajeev Kr, Education Board Secy, says, “It's super brain yoga. It's scientifically proven that it increases brain efficiency. We're starting this from tomorrow” pic.twitter.com/Rk3r4e7XUi
— ANI (@ANI) July 4, 2019
উল্লেখ্য, পরীক্ষামূলকভাবে আপাতত তা চালু করা হয়েছে ভিওয়ানির একটি সরকারি স্কুলে। বোর্ডের ফরমান অনুযায়ী, প্রতিটি ছাত্রকে স্কুলে রোজ ১৪ বার ওঠবস করতে হবে সকালে প্রার্থনার সময়।
‘সুপার ব্রেন যোগা’ কথাটি নেওয়া হয়েছে ফিলিপিন্সের যোগ গুরু চাও কোক সুই-এর একটি বই থেকে। সেখানে তিনি লিখেছেন, মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে এই ‘সিট-আপ’ অত্যন্ত ভালো কাজ দেয়। এই যোগের প্রচলন ছিল প্রাচীন ভারতে।
আরও পড়ুন-এগোলে বিপদ, পিছোলেও- চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশার জাঁতাকলে আজ প্রথম বাজেট নির্মলার
একসময়ে শাস্তি হিসেবে ওঠবস করানো হতো স্কুলে। ছাত্রদের ওপরে শারীরিক নির্যাতন করা যাবে না, এমন আইন চালুর পর তা বন্ধ হয়েছে। তবে এই সিট-আপ কারাতে গিয়েই মৃত্যু হয় হায়দরাবাদের এক স্কুল ছাত্রের।
২০১২ সালে হায়দরাবাদের একটি স্কুলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে ১০০ বার ওঠবস করতে বাধ্য করা হয়। ঘরে ফিরে প্রবল জ্বরে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে ওই ছাত্র। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর মৃত্যু হয়। হোমওয়ার্ক না করার জন্য ২০১৭ সালে কোলাপুরের এক স্কুল ছাত্রীকে সিট-আপ করতে বাধ্য করা হয়। স্কুলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী।