কংগ্রেসের সংরক্ষণ ফর্মুলায় সায় হার্দিকের, স্পষ্ট হল সমর্থন
সংবিধানের ৪৬ ও ৩১ নম্বর ধারা অনুযায়ী পাতিদারদের জন্য সংরক্ষণ আনা হবে। আর তার রূপরেখা কংগ্রেসকে ইস্তেহারে উল্লেখ করতে হবে। দাবি পতিদার নেতৃত্বের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কয়েক ঘণ্টা আগেই বলেছিলেন "কংগ্রেস-বিজেপি সব সমান"। কিন্তু এর মধ্যে অবস্থান বদলেছে, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা স্পষ্ট করে জানালেন হার্দিক প্যাটেল। পাতিদার সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণ প্রস্তাব মেনে নিয়েছে কংগ্রেস। তারা ক্ষমতায় এলে পাতিদার সম্প্রদায়ের জন্য চাকরি ও কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ বিল আনা হবে বলে আশ্বাস মিলেছে। আসন্ন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে তাই কংগ্রেসের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়েই লড়বে পাতিদার আনামত আন্দোলন সমিতি (পাস)। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন পাস নেতা হার্দিক প্যাটেল।
প্রসঙ্গত, রবিবার পাস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রথম দফায় ৭৭ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। সেই তালিকায় আসন বণ্টন নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে পাস নেতাদের মতানৈক্য ঘটেছিল বলেই সূত্রের খবর। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না হার্দিক পাটেল। সোমবার রাজকোটে তাঁর সভা করার কথা থাকলেও, পরে তা বাতিল করে দেন পাতিদার আন্দোলনের এই তরুণ তুর্কী নেতা। ফলে হাসি চওড়া হয় ক্ষমতাসীন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু, বুধবার সেই জল্পনা খারিজ করে দিলেন হার্দিক নিজেই। টিকিট বণ্টন ইস্যুতে তাঁর সাফ বক্তব্য, "কংগ্রেসের কাছ থেকে কোনও টিকিট চাননি পাতিদার নেতারা। তাঁদের একটাই দাবি সংরক্ষণ। "
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও রাজ্যে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখা যাবে। বর্তমানে গুজরাটে তফশিলি জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য মোট সংরক্ষণ রয়েছে ৪৯ শতাংশ। হার্দিক বলেন, বর্তমান সংরক্ষণ ব্যবস্থায় কোনওরকম পরিবর্তন করা হবে না। সংবিধানের ৪৬ ও ৩১ নম্বর ধারা অনুযায়ী পাতিদারদের জন্য সংরক্ষণ আনা হবে। আর তার রূপরেখা কংগ্রেসকে ইস্তেহারে উল্লেখ করতে হবে, বলে দাবি পতিদার নেতৃত্বের। একইসঙ্গে হার্দিক খারিজ করে দিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদানের সম্ভাবনাও। আগামী ২ বছরের মধ্যে কোনও দলে যোগ দিচ্ছেন না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি, বুধবার ফের একবার বিজেপিকে একহাত নেন হার্দিক। পাতিদার সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য বিজেপি কোনও পদক্ষেপই নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তোপ দাগেন, ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে দল ভাঙানোর খেলায় নেমেছে বিজেপি। উত্তর গুজরাটে 'দল' ছাড়ার জন্য পাস নেতাকে বিজেপির তরফে ৫০ লাখ টাকার 'টোপ' দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন হার্দিক।
আরও পড়ুন, দু'মাস কারাবাসের পর প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডে মুক্তি পাচ্ছেন 'নির্দোষ' অশোক
আগামী ৯ ও ১৪ ডিসেম্বর দুদফায় গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। ফলাফল ঘোষণা হবে ১৮ ডিসেম্বর। গুজরাটের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ প্যাটেল সম্প্রদায়ের মানুষ। যাদের ভোট প্রভাব ফেলবে কমপক্ষে ১৮২ আসনবিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভার ৬০টি আসনের ফলাফলে। তাই কংগ্রেসের সঙ্গে পতিদার নেতৃত্বের ওই সমঝোতা বিশেষ ফ্যাক্টার হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।