রাফালে বেহাল! হ্যালের ব্যবসার খতিয়ান বলছে অন্য কথা

শুক্রবার হ্যাল-র ৫৫ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের ব্যাবসার খতিয়ান তুলে ধরেন নয়া চেয়ারম্যান আর মাধবন। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ব্যবসা করেছে ১৮,২৮,৩৮৬ লক্ষ টাকা। যেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে হ্যাল ব্যবসা করেছিল ১৭,৬০,৩৭৯ লক্ষ টাকা

Updated By: Sep 29, 2018, 03:00 PM IST
রাফালে বেহাল! হ্যালের ব্যবসার খতিয়ান বলছে অন্য কথা
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের একমাত্র সরকারি যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের- (হ্যাল) একাধিক রাফাল তৈরি করার পরিকাঠামো নেই, এমন তকমা আগেই দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়-ও একই সুরে বলেন, ফরাসি সংস্থা দ্যাসো যে কর্মক্ষমতার প্রস্তাব দিয়েছিল, তা পূরণ করার সামর্থ্য ছিল না হ্যাল-র। কিন্তু সম্প্রতি হ্যাল তাদের গত অর্থ বর্ষের নজিরবিহীন বাণিজ্যিক খতিয়ান তুলে ধরেছে। হ্যালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, ২০১৬-১৭ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে বেশি ব্যবসা করেছে।

আরও পড়ুন- ইমরান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই সন্ত্রাস বেশি হচ্ছে, অভিযোগ বিএসএফ প্রধানের

শুক্রবার হ্যাল-র ৫৫ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের ব্যাবসার খতিয়ান তুলে ধরেন নয়া চেয়ারম্যান আর মাধবন। তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ব্যবসা করেছে ১৮,২৮,৩৮৬ লক্ষ টাকা। যেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে হ্যাল ব্যবসা করেছিল ১৭,৬০,৩৭৯ লক্ষ টাকা। সারা বছর হ্যাল যা তৈরি করেছে তার খতিয়ান তুলে ধরেন মাধবন। তিনি জানিয়েছেন, ৪০টি যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে এসএই-৩০ এমকেআই, এলসিএ তেজস্ব এবং ড্রোনিয়ার ডু-২২৮ এর মতো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। এছাড়া ১০৫টি নতুন ইঞ্জিন তৈরি করা হয়েছে। ২২০টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার সারানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- ট্রাফিক আইন না মানায় গুলি লখনউ পুলিসের, মৃত্যু হল অ্যাপেল সংস্থার কর্মীর

হ্যাল আরও জানিয়েছে, আয়কর দিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে লাভ হয়েছে ২,০৭,০৪১ লক্ষ টাকা। হ্যালেক এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানায়, সুখোই এবং মিগসের মতো জটিল প্ল্যাটফর্মে দুর্দান্ত কাজ করছে হ্যাল। রাফাল প্রস্তুতেও ইতিবাচক ইঙ্গিত শোনা গিয়েছে ওই কর্তার মুখে। কিন্তু কেন্দ্র বরাবরই দাবি করেছে, ১০৮টি রাফাল তৈরি করার মতো পরিকাঠামো নেই হ্যাল-র।

দেশের রাজনীতিতে বিতর্কটা শুরু হয়েছে এখানেই। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, সরকারি সংস্থার উপর ভরসা না রেখে অম্বানি সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। বিরোধীদের বিতর্ক ঘি পড়ে যখন ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ-ও বলেন দ্যাসোকে অনিল অম্বানি সংস্থার নাম সুপারিশ করেছিল কেন্দ্র।

ওলাঁদের মন্তব্যে ব্যকফুটে চলে যায় বিজেপি। তড়িঘড়ি ফ্রান্সের মাকরঁ সরকার এবং দ্যাসো পৃথক বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয় ওলাঁদের মন্তব্যের ভিত্তি নেই। পরে ওলাঁদ-ও জানান, দ্যাসোর সঙ্গে অনিল অম্বানি সংস্থার চুক্তি বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ফরাসি সংস্থা দ্যাসো প্রস্তাব দিয়েছিল ২৫৭ ঘণ্টার কর্মক্ষমতা, যেখানে হ্যাল জানায় তারা ১০০ ঘণ্টার জোগান দিতে পারবে।

.