Godhra Train-Burning Case: গোধরা হিংসা মামলার সুপ্রিম শুনানি, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের জামিন
গুজরাতের গোধরায় সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মামলায় আজ সুপ্রিম কোর্ট ৮ আসামিকে জামিন দিল দেশের শীর্ষ আদালত। যদিও আবেদন করা আরও চার আসামির জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এই সব আসামিরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিল এবং দোষীরা ইতিমধ্যে ১৭ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গুজরাতের গোধরায় সবরমতি এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মামলায় আজ সুপ্রিম কোর্ট ৮ আসামিকে জামিন দিল দেশের শীর্ষ আদালত। যদিও আবেদন করা আরও চার আসামির জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এই সব আসামিরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিল এবং দোষীরা ইতিমধ্যে ১৭ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেছে।
এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ রায় দেওয়ার সময় বলেছিলেন যে নিম্ন আদালত জামিনের শর্ত নির্ধারণ করবে। দোষীদের আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে ঈদকে সামনে রেখে তাদের জামিনে মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। যদিও এই জামিনের বিরোধিতা করেছে কেন্দ্রীয় সলিসিটার। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আট আসামির জামিন মঞ্জুর করার সময় কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়ে।
গুজরাত সরকারের হয়ে মামলায় তিনি বলেন, ওই আসামিরা নির্মমভাবে মানুষকে হত্যা করেছে। আগুন থেকে যাত্রীরা যাতে নিজেদের রক্ষা করতে না পারে সে জন্য বাইরে থেকে ট্রেনের কামরার দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরা জামিন পাওয়ার অযোগ্য। তবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের বক্তব্য, ১৭ বছর জেলে কাটানোর পর জামিন পাওয়াটা আসামির অধিকারের মধ্যে পড়ে। শর্তসাপেক্ষে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০২-এ, সবরমতী এক্সপ্রেসের বগি এস-৬ গোধরায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। আগুনে পুড়ে মারা যায় ৫৯ জন। এই ঘটনার পর গুজরাটে দাঙ্গা শুরু হয়। সেই দাঙ্গার বলি হয়েছিলেন ১০০০ জনেরও বেশি। এদিকে গোধরায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০১১ সালে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এর মধ্যে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন, অন্নপূর্ণার মারণখাদে আটকে ১ সপ্তাহ, পোল্যান্ডের পর্বতারোহী বাঁচালেন 'নিখোঁজ' অনুরাগের প্রাণ