অঙ্কে কাঁচা, তাই বিয়ের মণ্ডপ থেকে বউ ছাড়াই ফিরতে হল কানপুরের যুবককে
অঙ্কে কাঁচা বলে কি মাঝে মাঝেই ইসকুলে কান মোলা খেতেন? চাকরির বাজারেই এই কালান্তক অঙ্ক না জানার কারণে খেতে হয়েছে প্রচুর নাকানি চোবানি? কিন্তু এই জ্বালাতনী অঙ্ক আপনাকে যে বিয়ের মঞ্চেও বিপাকে ফেলতে পারে ঘুণাক্ষরেও কি কোনও দিন টের পেয়ে ছিলেন? এবার তবে সাবধান হন। বিয়ের আগে মন দিয়ে অঙ্ক প্র্যাকটিস শুরু করুন। না হলে আপনার ভাগ্যও হয়ত কানপুরের রাম বরনের মত হতে পারে।
ওয়েব ডেস্ক: অঙ্কে কাঁচা বলে কি মাঝে মাঝেই ইসকুলে কান মোলা খেতেন? চাকরির বাজারেই এই কালান্তক অঙ্ক না জানার কারণে খেতে হয়েছে প্রচুর নাকানি চোবানি? কিন্তু এই জ্বালাতনী অঙ্ক আপনাকে যে বিয়ের মঞ্চেও বিপাকে ফেলতে পারে ঘুণাক্ষরেও কি কোনও দিন টের পেয়ে ছিলেন? এবার তবে সাবধান হন। বিয়ের আগে মন দিয়ে অঙ্ক প্র্যাকটিস শুরু করুন। না হলে আপনার ভাগ্যও হয়ত কানপুরের রাম বরনের মত হতে পারে।
উত্তর প্রদেশের কানপুরের দেহাত জেলার বাসিন্দা রাম বরনের বিয়েটাই বানচাল হয়ে গেল সহজ একটা অঙ্কের সমাধান করতে না পারার জন্য।
হবু বরের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ ছিল হব্য স্ত্রীর। তাঁর তুতো বন বিয়ের সাজে খোশ মেজাজে আশা রাম বরনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ১৫+৬ কত হয়? ঠিক উত্তর দিতে পারেননি রাম। আর তাতেই ক্ষেপে গিয়ে বিয়েটাই ক্যানসেল করে দিলেন কনে বেশে সাজুগুজু করে থাকা লাভলি।
পরিবার ও গ্রামের লোকজনের সঙ্গে এতওয়া থেকে দেহাতে মোহর সিংয়ের মেয়ে লাভলিকে বিয়ে করতে এসে ছিলেন রাম।
১৫+৬ এর উত্তরে রামের মুখে ২১ বদলে ১৭ শুনে হাঁ হয়ে যান লাভলি ও তাঁর ভাই বোনরা। লাভলি সাফ জানান এই বিয়ে তিনি করবেন না।
বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ঠিক আগেই বিয়ে করবেন না বলে বেঁকে বসেন কনে। রামের বাড়ির লোকজন তাঁকে বোঝাবার বহু চেষ্টা করলেও ভবিকে তাতে ভোলানো যায়নি। মণ্ডপ থেকে সোজা বেড়িয়ে আসেন তিনি।
কনের বাবা জানিয়েছেন ''ক্লাস ওয়ানের একটা বাচ্চাও এই প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর জানে। বরের বাড়ির লোকজন ওর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আমাদের মিথ্যে কথা বলেছিল।'' তাঁর দাবি তাঁদেরকে ঠকানো হয়েছে।