সোনার পতন অব্যাহত, ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের কী করা উচিত?
বাজারে সোনার জৌলস আরও কমছে। পাঁচ বছরে সর্বপ্রথম সোনার দর পৌঁছেছে ২৪ হাজারে। আগামী কয়েক মাসে সোনার অধপতনের অশনি সংকেত দেখছেন বিনিয়োগকারী ও খুচরো কারবারীরা। কলকাতার বাজারেও গতকাল প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ হাজারে নিচে নেমে গেছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন এই মুহূর্তে সোনা সঞ্চয় জরুরী কিনা?
বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি কারণে সোনা কেনার সাহসী পদক্ষেপে সতর্কীবার্তা দিচ্ছেন
১) শেয়ার বাজার ছাড়াও গহনা ও ২৪ ক্যারেট সোনা কেনার ক্ষেত্রে ভাঁটা পড়েছে এমনই মত গহনা ব্যবসায়ীদের। গোল্ডম্যান স্যাক্স গ্রুপের ভবিষ্যত বাণী হলুদ ধাতু আর একটু নিচে নামতে পারে। তবে এটাই উপযুক্ত সময় বিনিয়োগ করার। সোনা উর্ধ্বমুখী হওয়ার আগে ২৪ হাজার নিচের দিকে বেঞ্চমার্ক হতে পারে।
২) এখন বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী সোনা ছেড়ে ডলারে ঝুঁকছে। অস্থির বাজারে খাঁটি সোনার মূল্য বুঝতে ভুল করছেন বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই মুহূর্তে যক্ষের ধণের মতো সোনা আগলে রাখলে অর্থাত ইটিএফ, কয়েন, গহনা বা গোল্ড ফিউচারে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যত আরও ঔজ্জ্বল হতে পারে।
৩) বিশ্বে চিন ও ভারত সোনার কদর বেশি। চলতি বছর অর্থবর্ষে প্রথম কোয়াটারে চিন ৩২ শতাংশ সোনা আমদানী করে যেখানে ভারত ছিল ২২.৫ শতাংশ। কিন্তু চিনে সোনার চাহিদা কমার সঙ্গে ভারতেও হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সোনা বিক্রি করার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এইসময় সোনার চলছে 'শুদ্ধিকরণ'। ভবিষ্যতে লক্ষ্মীলাভের স্বপ্নে এখন পা দেওয়া দরকার সোনা বিনিয়োগে।
৪) শেয়ার মার্কেটে আপানার পোর্টফোলিওয়ে নতুন বিনিয়োগ আনতে চাইলে অন্য স্টকে নজর না দিয়ে সোনায় মন দিন। আপনার বাজেটের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ এই মুহূর্তে সোনায় বিনিয়োগ করুন। বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যত বাণী সফল হলে আরও নিচে সোনা ধরতে পারনে। তবে অল্প উর্ধ্বমুখী হলে কিছু সোনা বেচে দিন। সতর্কবার্তা হিসাবে বলা যেতে পারে ৩০ হাজারে সোনা বেচার অলীক স্বপ্নে বসে থাকবেন না।
৫) এখন বিনিয়োগ করলে সোনা যখন উর্ধ্বমুখী হবে আপনার পোর্টফোলিওর ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হতে পারে।