বন্ধ চা বাগান, 'ক্ষিধে মেটাতে' নিজের কন্যাকে বিক্রি করে দিচ্ছে শ্রমিকেরা
বন্ধ চা বাগান। কাজ নেই। ক্ষিধে মেটাতে নিজের কন্যাকে বিক্রি করে বাঁচার পথ খুজছেন বেশ কিছু চা শ্রমিক। সিকিমে বিক্রি হয়ে যাওয়া এমনই দুই কিশোরীকে উদ্ধার করল পুলিস। অভিযোগ, আরও বহু কিশোরীকে ভিন রাজ্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: বন্ধ চা বাগান। কাজ নেই। ক্ষিধে মেটাতে নিজের কন্যাকে বিক্রি করে বাঁচার পথ খুজছেন বেশ কিছু চা শ্রমিক। সিকিমে বিক্রি হয়ে যাওয়া এমনই দুই কিশোরীকে উদ্ধার করল পুলিস। অভিযোগ, আরও বহু কিশোরীকে ভিন রাজ্যে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
কাজ নেই মরদের। চাল নেই ঘরে, চালের খোঁজে সংসার ছেড়ে, বাগান ছেড়ে,মা গেছে ভিন রাজ্যে। চালচুলো হারানো বাড়িতে কাজ হারানো বাবা, অশক্ত দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে স্কুল পড়ুয়া কিশোর কিশোরীরা। এটাই উত্তরবঙ্গের বহু বন্ধ বাগানের বর্তমান চিত্র । ঘরে অভুক্ত পেটের বহু মানুষ। আর এই অবস্থাতেই বাগান থেকে বিক্রি হচ্ছে একের পর এক কিশোরী।
দশ মাস বন্ধ মালবাজারের মেটালি ব্লকের ডানকানের কিলকোট চা বাগান । কাজ হারিয়েছেন বাগানের চোদ্দশ শ্রমিক। ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন অনেকে। আট মাস আগে বাগানের দুই মহিলা চলে যান ভিন রাজ্যে। তাঁদের বাড়িতে স্বামী ও কিশোরী কন্যা। তবু মেটিনি সমস্যা, মেয়েদের খাবার জোটাতে পারেনি বাবা, তা বলে, গলা টিপেতো মেরে দেওয়া যায় না। কিন্তু বেঁচে থাকার, বাঁচিয়ে রাখার আর অন্য উপায়ও বা কোথায়। অভিযোগ, অনটন মেটাতে ওই দুই মেয়েকে মাত্র আটহাজার টাকায় বিক্রি করে দেন তাদের বাবারা।
সিকিম থেকে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিস। দুই কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে অভাবের তাড়নায় এরকম ঘটনা আকছার ঘটছে বাগানে।