রুশদির অভিযোগ অস্বীকার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর
রুশদির ওপর প্রাণনাশের হুমকির গুজব ছড়িয়েছিল রাজস্থান পুলিস। স্যাটানিক ভার্সেসর লেখকের আনা এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
রুশদির ওপর প্রাণনাশের হুমকির গুজব ছড়িয়েছিল রাজস্থান পুলিস। স্যাটানিক ভার্সেসর লেখকের আনা এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। রবিবার টুইটারে সলমন রুশদি জানান, জয়পুর সাহিত্য সম্মেলনে যাতে তিনি যোগ না দেন সেই কারণেই তাঁর প্রাণনাশের হুমকির মিথ্যে গল্প সাজিয়েছিল রাজস্থান পুলিস। রুশদির এই অভিযোগের বিষয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, এটা সত্যি নয়। তাঁর নিরাপত্তার সমস্ত ব্যাবস্থাই রাজস্থান পুলিস করেছিল। তাঁর বক্তব্য, রুশদি ভারতীয় বংশোদ্ভুত। তাই ভারতে আসার জন্য তাঁর ভিসার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু মুষ্টিমেও কিছু লোকের ক্ষোভের কারণে যদি তাঁর জীবনসংশয় হয় এবং তা যদি জয়পুর সাহিত্য সম্মলনের মত একটি জনপ্রিয় উত্সবের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে, তবে অবশ্যই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত্।
রুশদির অভিযোগ, জয়পুর সাহিত্য সম্মেলনে যাতে তিনি যোগ দিতে না পারেন সেই কারণেই তাঁর প্রাণনাশের হুমকির মিথ্যে গল্প সাজিয়েছিল রাজস্থান পুলিস। রবিবার টুইটারে তিনি জানান, 'আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি আমাকে মিথ্যা কথা বলা হয়েছিল। আমি ক্ষুব্ধ এবং মর্মাহত। আমি জানি না কার নির্দেশে এটা করা হয়েছে। আমার ধারণা, যারা হরি কুঞ্জরু, জিত থাইল, রুচির যোশি ও অমিতাভ কুমারকে গ্রেফতার করতে চেয়েছিল এটা তাদেরই কাজ।' নিরাপত্তার কারণে রুশদির জয়পুর সাহিত্য সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার প্রতিবাদে সাহিত্য মঞ্চেই বুকার জয়ী লেখকের বিতর্কিত বই `দ্য স্যাটানিক ভার্সেস` পাঠ করার কথা ভাবেন এই ৪ লেখক। অশোকনগর পুলিস সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার ৪ লেখকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুক্রবার সলমন রুশদি জানান, রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের গোয়েন্দা দফতর সূত্রে তাঁর কাছে খবর আসে, মুম্বইয়ের অন্ধকার জগত্ ভাড়াটে খুনি দিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করেছে। সেই ভাড়াটে খুনিরা তাঁকে মেরে ফেলার জন্য ইতিমধ্যেই জয়পুর রওনা হয়ে গিয়েছে। তাই এই সময় তাঁর ভারতে যাওয়াটা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ হবে। কিন্তু ঠিক পরের দিন, শনিবার, রুশদির দাবিকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে মুম্বই
পুলিস সূত্রে জানানো হয়, রুশদিকে হত্যার চক্রান্তের কোনও খবর তাদের কাছে নেই। বুকার জয়ী লেখকের বিবৃতিতে রাজস্থান সরকারের তুমুল সমালোচনা শুরু হয়ে যায় সাহিত্যিক মহলে। এরপর রাজস্থান পুলিসের বিরুদ্ধে রুশদির অভিযোগের বিষয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সাহিত্য মহলে।