G-20 presidency: বিরোধীদের হাতে-হাত, হাসি-খুনসুটি! মোদীর 'চা পে চর্চায়' সৌজন্য দৃশ্য
রাজনৈতিক মতাদর্শ যতই ভিন্ন হোক না কেন, এক্ষেত্রে দেশের স্বার্থেই এগিয়ে আসতে হবে সব দলকে, এই বার্তাই উঠে আসে বৈঠকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জি২০ বৈঠক যেন রাজনীতির আঙিনার চাঁদের হাট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে দিল্লি ছুটে গিয়েছিলেন প্রায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এবং বিরোধী দলনেতারা। মোদীর পৌরহিত্যে এই গোটা বৈঠকটি হয়৷ বিশ্বের কাছে দেশের শক্তি প্রদর্শনের একটি অনন্য সুযোগ এই জি২০, ফলে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে, বৈঠকে এমনটাই জানান প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মতাদর্শ যতই ভিন্ন হোক না কেন, এক্ষেত্রে দেশের স্বার্থেই এগিয়ে আসতে হবে সব দলকে, এই বার্তাই উঠে আসে বৈঠকে। জি২০ এর সম্মেলনের এই চা-চক্রে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরি, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো নেতারা। ছিলেম কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও৷
আরও পড়ুন, মমতার রাজস্থান সফরের কয়েক ঝলক, দেখে নিন এক্সক্লিউসিভ কিছু ছবি...
বিশ্বের ২০টি প্রধান অর্থনীতির একটি গ্রুপ G-20- এর আয়োজন করে থাকে। এই বৈঠকে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানান হয়েছে, ভারতের শক্তি বিশ্বকে প্রদর্শন করার এই এক ভাল সুযোগ। টিমওয়ার্কের গুরুত্বের উপর যেমন যোগ দেওয়া হয়েছে এবং এই G-20 ইভেন্টের আয়োজনে সকল নেতাদের সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে।
মোদী জানিয়েছেন এই জি২০ সামিটে প্রচুর সংখ্যক দর্শক ভারতে আসবেন। ফলে পর্যটন ব্যবসার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি G-20 মিটিংগুলির আয়োজন করা হবে এমন স্থানগুলিতে যার জেরে স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যেতে পারে৷ এই সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে বৈঠকে। এই বৈঠকে স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও তাদের বক্তব্য পেশ করেন।
তবে এত গেল বৈঠকের কথা৷ বৈঠকের পরবর্তী সৌজন্যও ছিল দেখার মতো। মোদীর ডাকা সেই চা চক্রের ছবি নিজেই টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ কখনও তাঁকে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেজরিওয়ালের সঙ্গে হাসি বিনিময়ে। কখনও সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে খুনসুটিতে, কখনও আবার মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে বাক্যালাপে। সব মিলিয়ে জি২০ এর বৈঠকে মিলে গেল রাজনৈতিক দূরত্ব।
আরও পড়ুন, ১ কোটির জাগুয়ারের ধাক্কায় খেলনার মতো টুকরো টুকরো স্কুটার, হাওয়ায় উড়ল যুবতী! পরিণতি মর্মান্তিক