পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি: দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ যাদব সহ ৪৫ জন, প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর ৩-৭ বছরের জেল হতে পারে, সাজা ঘোষণা বৃহস্পতিবার
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় আজ রায় ঘোষণা করবে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। সকালে রাঁচির বিশেষ আদালতে হাজির হন তিনি। আদালত চত্বরে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন লালুপ্রসাদ যাদব। প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সহ আরও ৪৫জনকেও পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনের পরদিন অর্থাত্ ৩ অক্টোবর লালুর সাজা ঘোষণা হবে।
লালুর পাশাপাশি এই হাই প্রোফাইল মামলায় দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে আছেন রাজ্যের আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র ও রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল জনতা দল (ইউনাইটেড)এমপি জগদীশ শর্মা।
ভুয়ো পশুখাদ্য বিলের মাধ্যমে অবিভক্ত বিহারের চাঁইবাসার ট্রেজারি থেকে ৩৭ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা আত্মসাত্ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন তাঁরা।
৩ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা লালুপ্রাসদের। ৯৫০ কোটি টাকার এই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলা চলচে দীর্ঘদিন ধরে। এমন একটা সময় লালুর সাজা হচ্ছে, যখন দাগি আসামীদের ভোটে দাঁড়ানো ও সাংসদ পদ বাতিল হচ্ছে।
রাঁচির সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত এই রায় ঘোষণা করে। সকালে রাঁচির বিশেষ আদালতে হাজির হন লালু। আদালত চত্বরে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
১৯৯৬ সালে চাইবাসা ট্রেজারি থেকে গবাদি পশুর খাবার কেনার নামে তুলে নেওয়া হয় ৩৭ কোটি সত্তর লক্ষ টাকা। অবিভক্ত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব, আরও এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে হইচই পড়ে যায় দেশজুড়ে। পাটনা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। ২০০১ সালে রাঁচির সিবিআই আদালতে মামলা স্থানান্তরিত হওয়ার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন লালুপ্রসাদ যাদব।