বানভাসি চেন্নাই, মৃত্যু মিছিল ২০০ ছুঁইছুঁই, ত্রাণ ও উদ্ধারে রাস্তায় নামবে যুদ্ধ জাহাজ
ওয়েব ডেস্ক: জলের তলায় চেন্নাই। ১০০ বছরের সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিতে পুরোপুরি ভাসছে। লাগাতার বৃষ্টিতে মৃতের সংখ্যা ২০০ ছুঁইছুঁই। একসপ্তাহে অবস্থার পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তারমধ্যে আগামী দুদিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি যে কী ভীষণ হতে চলেছে, তা ভেবে শঙ্কিত চেন্নাইবাসী। চেন্নাইয়ের বন্যা পরিস্থিতি এতই ঘোরালো যে নামাতে হচ্ছে জাহাজ। ত্রাণ ও উদ্ধারে জাহাজ কাজে লাগাবে নৌবাহিনী। আজ রাতেই চেন্নাই পৌছবে এই যুদ্ধ জাহাজ।
রাস্তা, রেললাইন, বিমানবন্দর, রানওয়ে...সবই একরকম। জলে জল। সবই জলের তলায়। নদী বুঝি পথ ভুলে বইছে চেন্নাইজুড়ে। বাস, ট্যাক্সি, অটো কিছুতে চড়েই স্বস্তি নেই। নিজে হেঁটে পৌছবেন, সে আশাতেও জল। পরের পর ট্রেন বাতিল। ট্রেন বাতিল চেন্নাই থেকে । হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী দুটি ট্রেনই বাতিল।
প্লেনে যাবেন? লাউঞ্জ থেকে রানওয়ে বিমানবন্দরের সর্বত্রই জল। জলের তোড়ে হ্যাঙ্গার থেকে ভেসে গেছে প্লেন। এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ মানুষ ঘর ছেড়ে পথে। মোবাইল হোক কিম্বা ল্যান্ডলাইন। কাজ করছে না টেলিফোন পরিষেবা। মুখ থুবড়ে পড়েছে সবরকম যোগাযোগ ব্যবস্থাই। কাজ করছে না এটিএমও। নিরাপত্তার খাতিরে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে প্রশাসন। অফিস, স্কুল, কলেজ বন্ধ। অনেক জায়গায় প্রচুর জল জমে থাকায় যেতে বাধা দিচ্ছে পুলিস। জায়গায় জায়গায় জলে আটকে আছে বাস, লরিরও। গত মাস খানেকে লাগাতার বৃষ্টির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এমন ভরাবহ বৃষ্টি, এই তত্ত্ব এককথায় মানতে চাননি কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। সবমিলিয়ে এককথায় থমকে গেছে চেন্নাইয়ের জীবন। পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে জলের তলায়।