এফডিআই ইস্যুতে আজ রাজ্যসভায় ভাগ্য পরীক্ষা কেন্দ্রের

গতকাল লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশনের সবচাইতে বড় পরীক্ষাটা উতরে গেছে কেন্দ্রের ইউপিএ-২ সরকার। বিরোধীদের প্রস্তাব খারিজ করে এফডিআই ইস্যুতে জয় পেয়েছে কেন্দ্র। সৌজন্যে অবশ্যই 'সপা' আর 'বসপা'-র 'বন্ধুত্ব পূর্ণ' ওয়াকআউট। আজ রাজ্যসভায় খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ ইস্যুতে আবার যুদ্ধে নামল সরকার। ইতিমধ্যে থেকে রাজ্যসভার উচ্চকক্ষে এফডিআই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ভোটাভুটি হবে শুক্রবার। সরকারের চিন্তা বাড়িয়ে দিল সমাজবাদী পার্টি। বাজ্যসভায় সপা সরকারকে ভোট দেবে না বলে জানিয়ে দিলেন সপা নেতা নরেশ অগ্রবাল। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন লোকসভার মত রাজ্যসভাতেও জয় পাবে সরকারই। 

Updated By: Dec 6, 2012, 09:58 AM IST

গতকাল লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশনের সবচাইতে বড় পরীক্ষাটা উতরে গেছে কেন্দ্রের ইউপিএ-২ সরকার। বিরোধীদের প্রস্তাব খারিজ করে এফডিআই ইস্যুতে জয় পেয়েছে কেন্দ্র। সৌজন্যে অবশ্যই 'সপা' আর 'বসপা'-র 'বন্ধুত্ব পূর্ণ' ওয়াকআউট। আজ রাজ্যসভায় খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ ইস্যুতে আবার যুদ্ধে নামল সরকার। ইতিমধ্যে থেকে রাজ্যসভার উচ্চকক্ষে এফডিআই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ভোটাভুটি হবে শুক্রবার। সরকারের চিন্তা বাড়িয়ে দিল সমাজবাদী পার্টি। বাজ্যসভায় সপা সরকারকে ভোট দেবে না বলে জানিয়ে দিলেন সপা নেতা নরেশ অগ্রবাল। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন লোকসভার মত রাজ্যসভাতেও জয় পাবে সরকারই। 
তবে রাজ্যসভার উচ্চকক্ষে জয় পাওয়া মোটেও সহজ হবে না মনমোহন সরকারের পক্ষে। লোকসভার সঙ্গে রাজ্যসভার ছবিটার কিন্তু পার্থক্য বিস্তর। এখানে মোটেও কেন্দ্র সরকারের সংখ্যা গরিষ্ঠতা নেই। রাজ্যসভার ২২৫ টা আসনের মধ্যে ইউপিএর দখলে মাত্র ৯০টি আসন। বাইরে থেকে সপা, ভাসপা, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, লোকজনশক্তি দলের সমর্থন পেলে সরকারের পক্ষে মোট ১১৭টি আসন হতে পারে। কিন্তু রাজ্যসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে হলে প্রয়োজন অন্তত ১২৩টি আসন। অন্য দিকে বিরোধীরা এখনই ১১০ টি আসনের সমর্থন আছে বলে দাবি করেছেন। এরকম অবস্থায় সরকারকে রাজ্যসভার উচ্চকক্ষেও জয় পেতে তাকিয়ে থাকতে হবে স্বাধীন ও ছোট দলগুলির আসনের উপর।
গতকাল লোকসভায় এফডিআই ইস্যুতে বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজের আনা প্রস্তাবের পক্ষে ২১৮টি ভোট পড়ে। মনমোহন সিংয়ের সরকার ২৫৩টি ভোট পেয়েছে। চিত্রনাট্যে সাজানো টানটান উত্তেজনার অবসান ঘটল খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ যুদ্ধে সরকারের জয়ের মধ্যে দিয়ে।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়ের আনা ফেমা সংশোধনী প্রস্তাবও লোকসাভায় মুখ থুবড়ে পড়ে। এই ইস্যুতে মনমোহন সিং নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার যেখানে ২৫৪টি ভোট পেয়েছেন। সেখানে প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়েছে ২২৪টি।
এই পরিণতির ইঙ্গিত ছিল আগেই। কংগ্রেসকে অক্সিজেন যোগাতে এফডিআই এর ভোটাভুটি থেকে শেষমুহূর্তে ওয়াক আউট করে বহুজন সামাজবাদী পার্টি। সংসদ থেকে বেরিয়ে আসেন সমাজবাদী পার্টির নেতারাও। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার ঠিক আগে বিএসপি ও এসপি নেতারা একে একে ওয়াক আউট করেন। এই দুই সহযোগী দলের সরে আসার পর, কংগ্রেসের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে আর কোনও অসুবিধা থাকল না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.