দুই ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী বাবা
নিজের দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন বাবা। শনিবার বিকেলে হায়দরাবাদের এক কলেজের অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর এ.আর.গুরুমূর্তি তার দুই ছেলে ৯ বছরের ভিত্তল ও ৫ বছরের নন্দকে নিয়ে ঘুরতে বেরোয়। এরপর আর ফেরেনি তারা। আত্মহত্যা করার আগে গুরুপ্রসাদ দুই ছেলেকে খুন করে বলে অনুমান পুলিসের।
ওয়েব ডেস্ক: নিজের দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন বাবা। শনিবার বিকেলে হায়দরাবাদের এক কলেজের অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর এ.আর.গুরুমূর্তি তার দুই ছেলে ৯ বছরের ভিত্তল ও ৫ বছরের নন্দকে নিয়ে ঘুরতে বেরোয়। এরপর আর ফেরেনি তারা। আত্মহত্যা করার আগে গুরুপ্রসাদ দুই ছেলেকে খুন করে বলে অনুমান পুলিসের।
গত বছর স্ত্রী সুহাসিনির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় গুরুমূর্তির। সপ্তাহে একদিন ছেলেদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছিল গুরুপ্রসাদ। শনিবার সকালে ৪৪ বছরের গুরুপ্রসাদ দুই ছেলেকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। সন্ধে পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় গুরুমূর্তির মোবাইলে ফোন করেন সুহাসিনি। ফোন ধরে পুলিস জানায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে গুরুমূর্তির। তার মৃত্যু আত্মহত্যা বলে অনুমানের কথাও সুহাসিনিকে জানায় পুলিস।
কিন্তু ছেলেদের ব্যাপারে কোনও খবর দিতে পারেনি পুলিস। গুরুমূর্তির আলওয়ালের বাড়ি থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটেও ছেলেদের কোনও উল্লেখ পায়নি পুলিস। সুইসাইড নোট থেকে পুলিস জানতে পেরেছে বিবাহবিচ্ছেদের কারণেই আত্মহননের পথ নিয়েছে গুরুমূর্তি। তবে গুরুমূর্তির মোবাইলে একটি না পাঠানো এসএমএস খুঁজে পেয়েছে পুলিস। যাতে লেখা ছিল, আত্মহত্যা করার আগে দুই ছেলেকে খুন করে রঙ্গা রেড্ডি জেলার কাছে মেডচালে একটি মাঠে তাদের পুঁতে দিয়েছে গুরুমূর্তি। রেললাইনের ধার থেকে পুলিস উদ্ধার করে গুরুমূর্তির দেহ। পাশেই পড়ে ছিল তার মোবাইল। পুলিস জানতে পেরেছে আত্মহত্যা করার কয়েক ঘণ্টা আগে সুহাসিনির সঙ্গে দেখা করতে যায় গুরুমূর্তি। সুহাসিনিকে ফিরে আসার অনুরোধ জানায়, কিন্তু সুহাসিনি রাজি হননি।
সোমবার বিকেলে মেডচাল থেকে সুহাসিনি-গুরুমূর্তির দুই সন্তানের দেহ উদ্ধার করে পুলিস। পুলিসের অনুমান তাদের বিষ দিয়ে বা ছুরির আঘাতে খুন করা হয়েছে। তাদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।