রাহুলকে জামাই চেয়ে অনশন যন্তরমন্তরে
মিডিয়ায় তাঁকে দেশের `মোস্ট এলিজেবল্ ব্যাচেলার` বলা হয় প্রায়শই। কিন্তু তা বলে বিয়ের দাবিতে অনশন!
মিডিয়ায় তাঁকে দেশের `মোস্ট এলিজেবল্ ব্যাচেলার` বলা হয় প্রায়শই। কিন্তু তা বলে বিয়ের দাবিতে অনশন! কংগ্রেসের কুলপ্রদীপ রাহুল গান্ধীর জীবনে এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম।
গত ৯ জুলাই থেকে দিল্লির যন্তরমন্তরের সামনে অনশনে বসেছেন জয়পুরের ওম শান্তি শর্মা। মরুরাজ্যের এই বাসিন্দার দাবি একটাই- তার নিজের মেয়ের সাথে ভারতের `ইয়ুথ আইকন` রাহুল গান্ধীর বিয়ে দিতে হবে। আর যুবরাজকে নজরানা? সে তো তুলনাহীন। মেয়ের বিয়েতে `পণ` হিসেবে নগদ ১৫ কোটি টাকার পাশাপাশি নিজের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি দিতে চান শ্রীমতি শর্মা। তবে মুখে কোনও স্লোগান তোলা বা জোরগলায় দাবি পেশের চেষ্টা করছেন না তিনি। হলুদ শাড়ি পড়ে চুপচাপই বসে রয়েছেন যন্তরমন্তর প্রাঙ্গণে। শুধু মৃদু গলায় জানিয়ে চলেছেন, তাঁর মেয়ে নেহরু-গান্ধী পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মের সদস্যকে ছাড়া আর কাউকেই বিয়ে করবে না।
কাহিনী এখানেই শেষ নয়। অপর এক বিক্ষোভকারী সন্তোষ মুরাত সিং এদিন যন্তরমন্তরে জানান, পরিবারের লোকজনেরা এর আগে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল,অথচ প্রচারের আলোয় তিনি নেই, গুরুত্ব পাচ্ছেন মিসেস শর্মার মেয়েই। আর দিল্লী পুলিশ কী বলছে? তারা এক্ষেত্রে সরাসরি মিসেস শর্মাকেই মানসিক ভারসাম্যহীন বলে অভিযুক্ত করে, তাদের বক্তব্য, কোনো অনুমতি ছাড়াই তিনি এখানে প্রতিবাদ করেছেন। সব মিলিয়ে আন্না হাজারে আর জন লোকপালের স্মৃতি বিজড়িত যন্তরমন্তর এখন জমজমাট `রাহুল-নাটকে`।