মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই জিতল ফলক
সুস্থ হয়ে উঠছে ফলক। গুরুতর ভাবে জখম অবস্থায় ২ বছর শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য টানা ৪৪ দিন ধরে লড়াই করার পর অবশেষে আশার আলো দেখছেন এইমস ট্রমা সেন্টারের চিকিত্সকরা। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, ফলকের অবস্থা স্থিতিশীল।
সুস্থ হয়ে উঠছে ফলক। গুরুতর ভাবে জখম অবস্থায় ২ বছর শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য টানা ৪৪ দিন ধরে লড়াই করার পর অবশেষে আশার আলো দেখছেন এইমস ট্রমা সেন্টারের চিকিত্সকরা। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, ফলকের অবস্থা স্থিতিশীল। স্বাভাবিক ভাবেই শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছে ছোট্ট ফলক। তাকে বের করে আনা হয়েছে ভেন্টিলেটর থেকে। মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক হয়েছে, সেরে গেছে বুকের সংক্রমণও। স্বতঃস্ফুর্ত ভাবেই হাত, পা নারছে ফলক। গত ৩ দিনে অপ্রত্যাশিত ভাবে বেরেছে তার বাঁচার আশা। শুরু থেকে ফলকের চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা চিকিত্সক দীপক আগরওয়াল এদিন জানান, আশঙ্কা কেটে গেছে। ফলক এখন স্থিতিশীল। দ্রুতই তাকে আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হবে।
গত ১৮ জানুয়ারি মুখে ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, হাত ভাঙা, মাথা থেঁতলানো অবস্থায় ২ বছরের শিশু ফলককে এইমস ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে মানুষের কামড়েরও ক্ষত পাওয়া যায়। ক্রমশ খারাপ হতে থাকে ফলকে শারীরিক অবস্থা। বুক ও মস্তিষ্ক থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে শরীরের অন্যান্য জায়গায়। ক্ষীণ হয়ে আসতে থাকে তার বাঁচার আশা। পরিস্থিতি ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে থাকে। তবে কোনও অবস্থাতেই হাল ছাড়েননি চিকিত্সকরা। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় একবার ভেন্টিলেটরের বাইরে আনা হলেও ফের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আবার ভেন্টিলেটরে রাখতে হয় ছোট্ট ফলককে। সেই থেকে টানা ২৪ দিন ভেন্টিলেটরে থেকেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যায় ফলক। খবর ছড়িয়ে পড়তেই অমানবিক শিশু নিগ্রহের শিকার ফলকের চিকিত্সার সাহায্যে এগিয়ে আসে বেশ কিছু সেচ্ছাসেবী সংস্থা ও এনজিও। ফলকের সুস্থ হয়ে ওঠার খবরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে সকলেই।