এক্সিট পোলেও মোদী ঝড়ের আভাস, বিরোধীদের আশা ইতিহাসে
`মোদি ভাগ্য এখন ইভিএম বন্দি`। বেশিরভাগ সংবাদ মাধ্যমের হেডলাইন এখন এমনই। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে চলছে প্রাইমটাইম সাজানোর ব্যস্ততা। তারমধ্যেই নির্বাচন বিধির রক্তচক্ষু কাটিয়ে মোদীর ভাগ্যগণনায় ব্যস্ত দেশের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলি। সকালে ভোটদানের পর মোদীকে আত্মবিশ্বাসী শোনালেও, গুজরাত মুখ্যমন্ত্রীর সাফল্যের চুলচেরা বিশ্লেষণে কাটাকুটির খেলা চলছে ডেস্কে ডেস্কে। একবাক্যে মোদীর জয় নিশ্চিত করছে সবাই।
`মোদি ভাগ্য এখন ইভিএম বন্দি`। বেশিরভাগ সংবাদ মাধ্যমের হেডলাইন এখন এমনই। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে চলছে প্রাইমটাইম সাজানোর ব্যস্ততা। তারমধ্যেই নির্বাচন বিধির রক্তচক্ষু কাটিয়ে মোদীর ভাগ্যগণনায় ব্যস্ত দেশের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলি। সকালে ভোটদানের পর মোদীকে আত্মবিশ্বাসী শোনালেও, গুজরাত মুখ্যমন্ত্রীর সাফল্যের চুলচেরা বিশ্লেষণে কাটাকুটির খেলা চলছে ডেস্কে ডেস্কে। একবাক্যে মোদীর জয় নিশ্চিত করছে সবাই।
টাইমস নাও ভবিষৎবাণীতে ১১৯ থেকে ১২৯টি আসন দেওয়া হয়েছে বিজেপিকে। কংগ্রেসের ভাগ্যে ৪৯ থেকে ৫৯ আসন দিয়েছে টাইমস নাওয়ের এক্সিট পোল। নিউজ ২৪ বলছে, গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে ১৮২টি আসনের মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি পেতে চলেছে ১৪০টি আসন। বিশ্লেষকদের রায়, মোট ভোটের ৪৬ শতাংশ পাবে শাসকদল। এই সংবাদমাধ্যম ৪০টি আসন দিয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। যেখানে ২০০৭-এ গুজরাত নির্বাচনে ৫৯টি আসন কংগ্রেসের দখলে ছিল। সেখানে এই ডামডোলের রাজনীতিতে কংগ্রেসের ঘর থেকে আরও ১৯টি আসন কেটে নিয়েছে নিউজ ২৪।
অঙ্ক কষেছেন হেডলাইনস টুডের বিশ্লেষকরাও। তাঁদের হিসাব বলছে, ৫০ থেকে ৫৬টি বিধানসভাকেন্দ্রের বেশিতে জয় হওয়ার কথা নয় কংগ্রেসের। ভোট শতাংশের হার ৩৭। অন্যদিকে এই ইংরেজি সংবাদমাধ্যম বিজেপিকে জয়ী করেছে ১২৮টি আসনে। এবিপি নিউজের ভবিষ্যৎবাণী, বিজেপি পেতে চলেছে ১১৬টি আসন আর কংগ্রেস পাচ্ছে ৬০টি আসন।
সমীক্ষাকারী সংস্থা সি-ভোটার এক্সিট পোলের নিরিখে গুজরাতে বিজেপিকে দিয়েছে ৪৬ শতাংশ ভোট। পক্ষান্তরে, সি-ভোটারের বিচারে কংগ্রেস পেতে চলেছে ৩৭ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, অপর একটি সমীক্ষক দল চাণক্যর রায়ে বিজেপি পেতে চলেছে ৫০ শতাংশ ভোট। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে পড়েবে মোট ভোটের ৩৫ শতাংশ।
যদিও গুজরাতের হাইপ্রফাইল নির্বাচনে দিনভর মিডার স্পটলাইট এড়িয়েছে হিমাচল প্রদেশ। পাহাড় রাজ্যের ৬৮টি আসনে নির্বাচন হয়েছে আজ। সমীক্ষার নিরিখে হিমাচলে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। সি-ভোটার হিমাচলে ৩০ থেকে ৩৮টি আসন দিয়েছে কংগ্রেসকে। ভাগ্যলিখন বলছে, হিমাচলে ২৭ থেকে ৩৫টি আসন পাবে বিজেপি। চাণক্য কংগ্রেসকে দিয়েছে ৪০টি আসন। তাদের বিচারে বিজেপি পাচ্ছে ২৩টি আসন।
গত কয়েক মাসধরে নির্বাচনী প্রচারে থ্রিডিতে চমক কেড়েছেন মোদী। মোটা অঙ্কের টাকাও গুনেছে তাঁর দল। বিশ্লেষকদের মত, গুজরাত নির্বাচন মোদীর কাছে অ্যাসিড টেস্ট মাত্র। তাঁর চোখ দিল্লির মসনদে। বিজেপির জাতীয় নেতৃত্বও বেশ কয়েকবার এই ইঙ্গিতে সায় দিয়েছে। উন্নয়নকে ইউএসপি ভোট বৈতরণী পার করার বিষয়ে যখন ১০০ শতাংশ নিশ্চিত মোদী। তখন সংবাদমাধ্যমের হিসেবনিকেশে মোদীর এগিয়ে থাকা অনেকটাই বল যোগাচ্ছে বিজেপিকে। কুশীলবদের মত, ২০১২ গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর জয়কে কেন্দ্র করে আগামিদিনে বিবর্তীত হবে দেশের রাজনীতি। ইতিহাস বলছে, ভারতীয় রাজনীতিতে আশ্চর্যের হার তখনই ঘটে যখন বুথ ফেরত সমীক্ষা রাজনৈতিক গবেষকদের চুলচেরা বিশ্লেষণ সব ভুল প্রমাণ হয়। মোদীর হারও এখন আশ্চর্যের ঘটনাই ধরা হবে। আরও তাই বিরোধীদের আশা, এক্সিট পোলকে ভুল প্রমাণ করে গুজরাতে মোদী সাম্রাজ্যের পতন হবে। তাই গুজরাত নির্বাচনের নিরিখে এখন সেই ইতিহাসেই বুক বাঁধছে বিরোধীরা।