নির্বাচনী বন্ডকে ‘আর্থিক কেলেঙ্কারি’ ঘোষণা করা হোক, মোদীকে নিশানা করে দাবি কংগ্রেসের
নির্বাচনী বন্ডকে ‘রাজনৈতিক ঘুষ কেলেঙ্কারি’ তকমা দেওয়ার দাবি তোলেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি। তাঁর অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচনী বন্ড কেনায় সীমা বেঁধে দেওয়া হ
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচনী বন্ডকে ‘দুর্নীতি’ তকমা দেওয়া হোক। কংগ্রেসের এই দাবিতে উত্তাল সংসদের উভয় কক্ষ। কংগ্রেসের অভিযোগ, তথ্যের অধিকার আইনে জানা গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী বন্ড কেনার বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রী দফতর। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
নির্বাচনী বন্ডকে ‘রাজনৈতিক ঘুষ কেলেঙ্কারি’ তকমা দেওয়ার দাবি তোলেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি। তাঁর অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচনী বন্ড কেনায় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু কর্নাটক নির্বাচনের আগে বাড়িত সুবিধার পাইয়ে দেয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জবাবদিহি দাবি করেন কংগ্রেস সাংসদরা। এ দিন সংসদ মুলতবি করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নায়ডু। লোকসভায় জ়িরো আওয়ারে এই বিষয়ে আলোচনার কথা বলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। কিন্তু ওয়েলে নেমে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস সাংসদরা।
আরও পড়ুন- উলটপুরাণ! জেএনইউ-র পড়ুয়াদের উপর পুলিসের লাঠিচার্জ ঘটনার কড়া সমালোচনা করল সেনা
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠকে জানান, নির্বাচনী বন্ড একটি বড়সড় কেলেঙ্কারি। এ নিয়ে তথ্য প্রকাশ করুক কেন্দ্র। কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনী বন্ডের ৯০ শতাংশ যায় বিজেপির ঝুলিতেই। উল্লেখ্য, প্রয়াত অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি একটি তথ্য দিয়ে জানিয়েছিলেন, এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার কোটি নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছে। উল্লেখ্য, এই নির্বাচনী বন্ডের আয়ের উত্স নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন উঠেছে। যাঁরা অর্থ জোগান দিচ্ছে, তাঁদের নাম অর্থের উত্স জানাতে বাধ্যবাধকতা নেই কোনও রাজনৈতিক দলের।